অধিকাংশ মানুষ জীবনের অর্থ বা অস্তিত্বের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত নয়। মানুষের বুদ্ধি বিবেচনা বলে আমরা প্রত্যেকই এই প্রশ্নের জন্য একটি সময় অতিবাহিত করি। কিন্তু আমরা অধিকাংশই এ ব্যাপারে চিন্তাকে বেশি দূর অগ্রসর করি না এবং হারিয়ে যাই; হয়তো ভাবি অর্থ খুঁজে বা জেনে কি আর হবে। কিন্তু আপনি জানেন কি এর অর্থ না জানার কারণে আপনি কি হারাচ্ছেন?
এখন কথা হলো- আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? এটা জানা কি খুব জরুরি? আমি আপনাদের একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আর সেটা হলো- মনে করুন একটি লোক হাঁটতে হাঁটতে এক মোড়ে আসল। তখন সে অন্য আরেক জনকে জিজ্ঞাসা করলো “এই রাস্তাটা কোন দিকে গিয়েছে, ভাই?” পথিক তাকে বললো- “আপনি কোথায় যেতে চান?” লোকটি বললো- “যে কোন জায়গায়”। তখন পথিক বলবে- “যে কোন পথে যান কোনো সমস্যা হবে না”।
এখানে এই লোকটার কোন উদ্দেশ্য নেই। লোকটা যেসব কাজ করে, তার সেই কাজগুলো কোনরকম পার্থক্য সৃষ্টি করে না; কারণ তার কোনো গন্তব্য নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে ঠিক এভাবেই জীবন-যাপন করছে।
আপনাদের আরো একটি উদাহরণ দিচ্ছি। মনে করুন একজন বিল্ডার (স্থপতি) একটি বিল্ডিং বানানো শুরু করলো। বিল্ডিংয়ের ভিত তৈরির জন্য সে মাটিতে বড় একটি গর্ত তৈরি করলো। এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হলো- “আপনার এই বিল্ডিংটা কত তলা পর্যন্ত হবে?” সে বললো- “আমি জানি না”। প্রশ্ন করা হলো- “বিল্ডিংটা কত স্কয়ার ফিট জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে?” সে বললো- “এটা নিয়ে চিন্তাই করিনি”। আসলে সেই বিল্ডারের কোনো উদ্দেশ্যই নেই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের বেশীরভাগই জীবনটা পার করছি গন্তব্য ও উদ্দেশ্য ছাড়াই।
আবার ধরুন, আর একজন লোক, যার কোন উদ্দেশ্য আছে। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে- “পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী হওয়া”। এজন্য সে কী করলো? সে প্রথম মানব আদম (আ) থেকে শুরু বর্তমান সময় পর্যন্ত সব ইতিহাস পড়লো। সে সবকিছু পড়ে জানতে পারলো যে, পৃথিবীর মধ্যে এ পর্যন্ত অতিবাহিত সময়ের সবচেয়ে সেরা বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন। আর এ কথাটি সঠিক। এটা জানার পর লোকটা কী করলো? সে আইজ্যাক নিউটনের মতো হওয়ার জন্য মাথার চুল লম্বা রাখলো। অর্থাৎ আইজ্যাক নিউটনের মতো বাবরি। তারপর নিউটনের মতো করে সে জামাকাপড় পড়তে শুরু করলো্। সেই লোক কি নিউটনের মতো বিজ্ঞানী হতে পারবে? এই লোকের একটি উদ্দেশ্য আছে, কিন্তু তার প্ল্যানিংটা ভুল। একটি প্ল্যান অবশ্য তার ঠিক যে, সে বিজ্ঞানীদের নিয়ে পড়াশুনা করেছে। তবে তার পুরো প্ল্যানিংটা ভুল।
এবার মূল প্রশ্নে আসি যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? পৃথিবীতে এই যে, আমাদের অস্তিত্ব, এটার উদ্দেশ্যটা কী? আপনাদের কী মনে হয়? কে এই প্রশ্নটার সঠিক উত্তর দিতে পারবেন যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? কে সে? ডা. জাকির নায়েক? অবশ্যই এর উত্তর হবে, না। ডা. জাকির নায়েক এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। তাহলে কি বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? এখানেই সেই একই উত্তর যে, না; দার্শনিকরাও এ প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম নন।
এই প্রশ্নটার সবচেয়ে সেরা উত্তর যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে পারবেন আমাদের স্রষ্টা, সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই উত্তর দিতে পারবেন যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী।
মানুষকে আল্লাহ তা’য়ালা কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত সৃষ্টি করেন নি। নিশ্চয়ই মানব সৃষ্টির একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন-
“আমি জ্বীন এবং মানুষকে এই কারণে সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আমার ইবাদত করে। (সূরা যারিয়াত: আয়াত-৫৬)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে মানুষ তার জীবনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে পরিচালনা করতে পারে না। বক্ষমান লেকচারে ডা. জাকির নায়েক পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাসায় আলোচনা করেছেন। আমরা এখানে কী করছি? এখানে কেন এসেছি? আসুন, আমরা তার লেকচার থেকে অনুবাদ করা নিম্নের ছোট বই থেকে বা ভিডিও থেকে বিস্তারিত জানি।
বইটি প্রকাশ করেছে :পিস পাবলিকেশন্স।
সংকলনে: এ কে এম নাঈমুল ইসলাম।
এখন কথা হলো- আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? এটা জানা কি খুব জরুরি? আমি আপনাদের একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আর সেটা হলো- মনে করুন একটি লোক হাঁটতে হাঁটতে এক মোড়ে আসল। তখন সে অন্য আরেক জনকে জিজ্ঞাসা করলো “এই রাস্তাটা কোন দিকে গিয়েছে, ভাই?” পথিক তাকে বললো- “আপনি কোথায় যেতে চান?” লোকটি বললো- “যে কোন জায়গায়”। তখন পথিক বলবে- “যে কোন পথে যান কোনো সমস্যা হবে না”।
এখানে এই লোকটার কোন উদ্দেশ্য নেই। লোকটা যেসব কাজ করে, তার সেই কাজগুলো কোনরকম পার্থক্য সৃষ্টি করে না; কারণ তার কোনো গন্তব্য নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে ঠিক এভাবেই জীবন-যাপন করছে।
আপনাদের আরো একটি উদাহরণ দিচ্ছি। মনে করুন একজন বিল্ডার (স্থপতি) একটি বিল্ডিং বানানো শুরু করলো। বিল্ডিংয়ের ভিত তৈরির জন্য সে মাটিতে বড় একটি গর্ত তৈরি করলো। এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হলো- “আপনার এই বিল্ডিংটা কত তলা পর্যন্ত হবে?” সে বললো- “আমি জানি না”। প্রশ্ন করা হলো- “বিল্ডিংটা কত স্কয়ার ফিট জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে?” সে বললো- “এটা নিয়ে চিন্তাই করিনি”। আসলে সেই বিল্ডারের কোনো উদ্দেশ্যই নেই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের বেশীরভাগই জীবনটা পার করছি গন্তব্য ও উদ্দেশ্য ছাড়াই।
আবার ধরুন, আর একজন লোক, যার কোন উদ্দেশ্য আছে। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে- “পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী হওয়া”। এজন্য সে কী করলো? সে প্রথম মানব আদম (আ) থেকে শুরু বর্তমান সময় পর্যন্ত সব ইতিহাস পড়লো। সে সবকিছু পড়ে জানতে পারলো যে, পৃথিবীর মধ্যে এ পর্যন্ত অতিবাহিত সময়ের সবচেয়ে সেরা বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন। আর এ কথাটি সঠিক। এটা জানার পর লোকটা কী করলো? সে আইজ্যাক নিউটনের মতো হওয়ার জন্য মাথার চুল লম্বা রাখলো। অর্থাৎ আইজ্যাক নিউটনের মতো বাবরি। তারপর নিউটনের মতো করে সে জামাকাপড় পড়তে শুরু করলো্। সেই লোক কি নিউটনের মতো বিজ্ঞানী হতে পারবে? এই লোকের একটি উদ্দেশ্য আছে, কিন্তু তার প্ল্যানিংটা ভুল। একটি প্ল্যান অবশ্য তার ঠিক যে, সে বিজ্ঞানীদের নিয়ে পড়াশুনা করেছে। তবে তার পুরো প্ল্যানিংটা ভুল।
এবার মূল প্রশ্নে আসি যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? পৃথিবীতে এই যে, আমাদের অস্তিত্ব, এটার উদ্দেশ্যটা কী? আপনাদের কী মনে হয়? কে এই প্রশ্নটার সঠিক উত্তর দিতে পারবেন যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? কে সে? ডা. জাকির নায়েক? অবশ্যই এর উত্তর হবে, না। ডা. জাকির নায়েক এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। তাহলে কি বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? এখানেই সেই একই উত্তর যে, না; দার্শনিকরাও এ প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম নন।
এই প্রশ্নটার সবচেয়ে সেরা উত্তর যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী? এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে পারবেন আমাদের স্রষ্টা, সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই উত্তর দিতে পারবেন যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা কী।
মানুষকে আল্লাহ তা’য়ালা কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত সৃষ্টি করেন নি। নিশ্চয়ই মানব সৃষ্টির একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন-
“আমি জ্বীন এবং মানুষকে এই কারণে সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আমার ইবাদত করে। (সূরা যারিয়াত: আয়াত-৫৬)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে মানুষ তার জীবনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে পরিচালনা করতে পারে না। বক্ষমান লেকচারে ডা. জাকির নায়েক পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাসায় আলোচনা করেছেন। আমরা এখানে কী করছি? এখানে কেন এসেছি? আসুন, আমরা তার লেকচার থেকে অনুবাদ করা নিম্নের ছোট বই থেকে বা ভিডিও থেকে বিস্তারিত জানি।
বইটি প্রকাশ করেছে :পিস পাবলিকেশন্স।
সংকলনে: এ কে এম নাঈমুল ইসলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন