Articles # কুরআনের আলোকে নামাযের গুরত্ব
3.কুরআনের গুরত্বপূর্ন আয়াত
পবিত্র কুরআনের অত্যান্ত গুরত্বপূর্ন ৩৪৬ টি আয়াত একজন মুসলিমের যাহা না জানলেই নয়!
হে মানব মন্ডলি।
তোমাদের রবের হুকুমগুলো মেনে চল, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদের সবার স্রষ্টা। এই পথেই তোমরা মুক্তি লাভের আশা করতে পারো। আল বাক্কারা ২১।
একে (পবিত্র কুরআনের উপদেশমালাকে) যারা গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানাবে এবং অবিশ্বাস করবে তারা হবে নরকের অধিবাসী, (স্রষ্টা প্রদত্ব জীবন বিধানকে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য) সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। আল বাক্কারা ৩৯।
(হে অবিশ্বাসীগন) আমি যে কিতাব পাঠিয়েছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন কর। তোমাদের নিকট পূর্বে যে কিতাব ছিল এটি তার সত্যতা সমর্থন করে, কাজেই তোমরা একে অস্বীকার করো না। সামান্য মুল্যে আমার আয়াত বিক্রয় করোনা, আমার গজব থেকে নিজেদের বাচাও, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সত্যেকে সন্দেহযুক্ত করোনা, জেনে বুঝে সত্যেকে গোপন করার চেষ্টা করো না। আল বাক্কারা ৪১/৪২।
নিঃসন্দেহে নামাজ বড়ই কঠিন কাজ, কিন্তু সেই সব অনুগত লোকদের জন্য কঠিন নয় যারা মনে করে সবশেষে তাদেরকে তাদের রবের নিকট ফিরে যেতে হবে। আল বাক্কারা ৪৬।
আর ভয় কর সেই দিনকে যেদিন কেউ কারো সামান্যতম উপকারে আসবে না, কারো পক্ষ থেকে কোন সুপারিশ গ্রহন করা হইবে না, এবং বিনিময় নিয়েও কাউকে ছেড়ে দেওয়া হইবে না। আল বাক্কারা ৪৮।
তোমাদের মুখ পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ফিরাবার মধ্যে পুণ্য নেই। বরং সৎকর্ম হচ্ছে তোমরা আল্লাহ, কেয়ামত দিবষ, ফেরেস্তাকুল, আল্লাহর অবতির্ণ কিতাব সমুহ, নবীদের উপর বিশ্বাস রাখবে এবং আল্লাহর প্রেমে উদ্ভদ্ধ হয়ে নিজেদের ধন সম্পদ তোমাদের আত্নীয় স্বজন, ইয়াতিম, মিসকীন, মুসাফির, সাহায্য প্রার্থী এবং ত্রুীতদাসদের মুক্ত করার জন্য সন্তুষ্টচিত্রে ব্যয় করবে। নামাজ কায়েম করবে এবং যাকাত প্রদান করবে। অংগীকার সমুহ পূর্ন করবে ও বিপদে অভাব অন্টনে এবং সত্য মিথ্যার সংগ্রামে ধৈর্য ধারন করবে, তারাই হল সত্য পথের পথিক এবং তারাই হল মুত্তাকী। আল বাক্কারা ১৭৭।
তোমাদের কারো মৃতু্যর সময় এসে পরলে এবং সে তার ধন সম্পত্তি ত্যাগ করে যেতে থাকলে পিতামাতা এবং আত্নীয় স্বজনদের জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী অসিয়ত করে যাওয়াকে তার জন্য ফরজ করা হয়েছে। আল বাক্কারা ১৮০।
হে ঈমানদারগন। তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববতিদের উপর। আশা করা যায় এর মাধ্যমে তোমরা সৎকর্মশীল হতে পারবে। আল বাক্কারা ১৮৩।
(জালেম) যখন নেতৃত্ব পায় তখন সে পৃথিবীতে তার সমস্ত শক্তি অশান্তি সৃষ্টি এবং শস্যক্ষেত আর মানবগোষ্টি ধ্বংস করার কাজে নিয়োজিত করে। অথচ আল্লাহ এগুলো মোটেও পছন্দ করেন না। আল বাক্কারা ২০৫।
স্ত্রীদের উপর পুরুষদের যেমন ন্যয়সংগত অধিকার আছে ঠিক তদ্রুপ পুরুষদের উপরও স্ত্রীদের ন্যয়সংগত অধিকার আছে। সুরা বাক্কারা ২২৮।
আল্লাহ যাকে চান হিকমত (অন্তরদৃষ্টি) দান করেন, আর যে ব্যক্তি হিকমত (অন্তরদৃষ্টি) লাভ করে সে মুলত বিরাট সম্পদ লাভ করেছে, এই কথা দ্ধারা একমাত্র তারাই শিক্ষা লাভ করে যারা বুদ্ধিমান। সুরা বাক্কারা ২৬৯।
বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে এমন সব দরিদ্র লোক সাহায্য লাভের অধিকারী যারা আল্লাহর কাজে এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যার ফলে তারা আর্থিক সচ্ছলতার জন্য সময় দিতে পারে না, আর তাদের দেখে মুর্খ লোকেরা সচ্ছল ভাবে, তাদের চেহারা দেখে তোমরা তাদের ভিতরের অবস্থা জানতে পারো, মানুষের নিকট সাহায্যের হাত পাতবে এমন লোক তারা নয়, তাদের জন্য তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে সেটা আল্লাহর অগোচরে থাকবে না। আল বাক্কারা ২৭৩।
হে ঈমানদারগন। আল্লাহকে ভয় কর এবং যার কাছে তোমাদের সুদ পাওনা আছে ছেড়ে দাও যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাক, আর যদি এমনটি না করে (সুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাক) তাহলে আল্লাহ এবং রাসুলের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যুদ্ধের ঘোষনা রইল। আল বাক্কারা ৭৮/৭৯।
হে নবী। লোকদের বলে দাও, যদি সত্যি সত্যি তোমরা আল্লাহকে ভালবেসে থাক তাহলে আমার অনুসরণ করো তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলো মার্জনা করবেন। তিনি ক্ষমাশীল এবং করুনাময়। সুরা ইমরান ৩১।
ইসলাম ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কোন পথে চলতে চায় তাহলে ইহা কখনো গ্রহন করা হইবে না বরং পরকালে সে হবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ। সুরা ইমরান ৮৫।
মানুষের মধ্যে যারা মক্কা পর্যন্ত পৌছার সামর্থ রাখে তারা যেন সেখানে গিয়ে হজ্জ সম্পন্ন করে, ইহা মানুষের উপর আল্লাহর অধিকার, আর যে ব্যক্তি উক্ত আদেশ মেনে নিতে চায়না তাদের স্বরণ রাখা উচিৎ আল্লাহ বিশ্ববাসীর মুক্ষাপেক্ষী নহেন। সুরা ইমরান ৯৭।
হে ঈমানদারগন। তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর। আর মুসলমান না হয়ে কোন অবস্থাতেই মৃতু্যবরণ করো না। সুরা ইমরান ১০২।
(হে মুসলিম জাতী) তোমরা সবাই মিলে একসঙ্গে আল্লাহর রশী আকড়ে ধরো, দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না। সুরা ইমরান ১০৩।
তোমাদের মধ্যে এমন কতিপয় লোক অবশ্যই থাকতে হবে যারা মানুষকে নেক কাজের দিকে আহবান করবে, মানুষকে সৎকর্মের আদেশ করবে এবং মন্দ কর্ম হইতে মানুষকে বিরত রাখবে। এই দায়িত্ব যারা পালন করবে তারা (পরজগতে)অবশ্যই সফলকাম হইবে। ১০৪
(হে মুসলিম জাতী) এরা (কাফেররা) তোমাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবে না, হয়ত তোমাদের কিছু কষ্ট প্রদান করতে পারবে, এরা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হলে পৃষ্ট পদর্শন করবে এবং তখন তারা কোন সাহায্যকারী পাবেনা। সুরা ইমরান ১১১।
তোমরা কল্যান লাভ করলে কাফেররা কষ্ট পায় এবং তোমাদের উপর কোন বিপদ আসলে তারা আনন্দিত হয়, এমতাবস্তায় যদি তোমরা ধৈর্য ধারন কর এবং আল্লাহকে ভয় কর তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের কোন কৌশল কার্যকর হবেনা, আল্লাহ কাফেরদের চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে আছেন। সুরা ইমরান ১২০।
যারা অভাব এবং সচ্ছল উভয় অবস্থায় আল্লাহর পথে ধন সম্পদ ব্যয় করে, যারা নিজেদের ক্রোধ নিয়ন্ত্রন করে,অন্যের দোষত্রুটি ক্ষমা করে, এই সমস্ত লোকদের আল্লাহ অত্যান্ত ভালবাসেন। সুরা ইমরান ১৩৪।
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না বরং তারা জিবিত, তারা প্রতিনিয়ত আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবিকা লাভ করছে। সুরা ইমরান ১৬৯।
আর দুনিয়া তোমাদের জন্য একটি প্রতারনার বস্তু ব্যতিত আর কিছুই নয়। সুরা ইমরান ১৮৫।
সন্তুষ্টচিত্রে (স্রষ্টার হুকুম মনে করে) নিজের স্ত্রীর মোহরানা দিয়ে দাও। তবে যদি তারা সেচ্ছায় কিছু অংশ ক্ষমা করে দেয় তাহলে তোমরা তাহা ভোগ করতে পার। সুরা নেসা ৪।
জীবন ধারনের জন্য তোমাদের যে সম্পদ দান করা হয়েছে সেগুলো নির্বোধ (সন্তানদের) হাতে তুলে দিওনা, তবে তাদের ভরণপোষন দাও সেই সঙ্গে সদুপদেশ দিতে থাক। সুরা নেসা ৫।
পিতা মাতা ও আত্নীয় স্বজন যে সম্পদ রেখে যায় তাতে পুরুষদের অংশ আছে এবং মেয়েদেরও অংশ আছে তা সামান্য হউক বা বেশি, ইহা (আল্লাহর পক্ষ থেকে) নিধর্ারিত। সুরা নেসা ৭।
তোমাদের ধন সম্পদ যখন বন্টন কর (এই খবর শুনে) তখন যদি তোমাদের অসহায় আত্নীয় স্বজন ইয়াতিম মিসকিনরা (কিছু পাওয়ার আশায় তোমাদের কাছে) আসে তখন তোমরা তাদেরকে কিছু অংশ দিয়ে দাও এবং তাদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরন কর। সুরা নেসা ৮।
তোমরা পৃথিবীতে একটু ভ্রমন করে দেখ যারা সত্যকে অস্বীকার করেছিল তাদের পরিনাম কি হয়েছিল। সুরা অনআম ১১।
আল্লাহ যদি তোমার কোন ক্ষতিসাধন করতে চান তাহলে এমন কেউ নেই তোমাকে সেই ক্ষতি থেকে বাচিয়ে দিতে পারে। আর তিনি যদি তিনি তোমার মঙ্গল চান তাহলে তিনি সকল বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান। সুরা অনআম ১৭/১৮।
তিনিই তোমাদের রাত্রে মৃতু্য ঘটান এবং দিবষে তোমরা যাহা কিছু কর তিনি জানেন, পুনরায় কর্মজগতে তোমাদের জীবন ফেরত দেন যাতে তোমাদের জীবনের নির্ধারিত সময় পূর্ন হয়, অবশেষে তারই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে তখন তিনি জানিয়ে দিবেন তোমরা দুনিয়াতে কি কাজ করে এসেছ। সুরা অনআম ৬০।
যারা পরকাল বিশ্বাস করে তারা এই কিতাবের উপর বিশ্বাস রাখে এবং তাদের নামাজসমুহ (আদায় করার মাধ্যমে) যথাযথভাবে হেফাজত করে। সুরা অনআম ৯২।
তোমরা প্রকাশ্য গোনাহ থেকে বেচে থাক এবং গোপন গোনাহ সমুহ থেকেও বেচে থাক, কারন গোনাহে যারা লিপ্ত থাকে তাদেরকে এর প্রতিফল (পরজগতে) ভোগ করতে হবে। সুরা অনআম ১২০।
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ যাকে হেদায়েতের পথে প্রতিষ্টিত করতে চান তার বক্ষ ইসলামের (পথ আনুসরনের) জন্য প্রশস্ত করে দেন এবং যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান তার অন্তর ইসলামের জন্য সংকির্ণ করে দেন। সুরা অনআম ১২৫।
প্রত্যেক মানুষের মর্যাদা তার কর্মনীতি অনুযায়ী হয় আর তোমাদের রব মানুষের কর্মনীতির ব্যপাড়ে বেখবর নন। সুরা অনআম ১৩২।
পিতা মাতার সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ কর, দারিদ্যের ভয়ে (জন্ম নিয়ন্ত্রন বা অন্য কোন উপায়ে) সন্তানদের হত্যা করোনা, আমি যেহেতু তোমাদের জীবিকা দিচ্ছি সুতরাং তোমাদের সন্তানদেরকেও দিব, আর প্রকাশ্যে ও গোপনে অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেওনা। সুরা অনআম ১৫১।
সেদিন যাদের নেকের পাল্লা ভারী হবে তারা হবে সফলকাম এবং যাদের নেকের পাল্লা হালকা হবে তারাই হবে নিজেদের ধ্বংশকারী, এর কারন তারা (দুনিয়াতে) আমার আয়াত সমুহ (অনুসরণ না করে) সেগুলোর উপর জুলুম করেছিল। সুরা আরাফ ৯।
আমি যখন কোন জনপদে নবী পাঠিয়েছি তখন সেই জনপদ বাসীকে কখনো অভাব অন্টন আবার কখনো দুঃখ কষ্টের সম্মুখিন করেছি ইহা ভেবে হয়ত তারা নবীর অনুগত্যে করবে। সুরা আরাফ ৯৪।
প্রকৃতপক্ষে যারা পরহেজগার শয়তানের পরোচনায় যখন কোন পাপ চিন্তা তাদের মনোজগতে উদয় হয় তখনই তাদের নৈতিক চেতনা জাগ্রত হয়ে যায়। সুরা আরাফ ২০১।
যখন তোমাদের সামনে কুরআন পড়া হয় তখন মনযোগ সহকারে শ্রবণ কর হয়ত এর ফলে তোমাদের উপর রহমত বর্ষণ করা হবে। সুরা আরাফ ২০৪।
পরিপূর্ন ঈমানদারত তারাই যাদের সামনে আমার স্বরনে (কুরআনের আয়াত পাঠ) করা হলে তাদের হৃদয়টা কেপে উঠে। সুরা অনফাল ২।
হে ঈমানদারগন। যখন কোন শত্রুদলের সাথে তোমাদের মোকাবেলা হয় তখন দৃয়তা দেখাও এবং আল্লাহকে খুব বেশি করে স্বরণ করতে থাক আশা করা যায় তোমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনিত হবে। সুরা অনফাল ৪৫।
(হে মুসলিম সমপ্রদায়) তোমরা একমাত্র আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্যে কর এবং নিজেরা (বৈষয়িক স্বার্থে) বিবাদে জড়িয়ে যেওনা তাহলে পৃথিবী থেকে তোমাদের প্রভাব ও শক্তি শেষ হয়ে যাবে। সুরা অনফাল ৪৬।
(ইসলামের শত্রুরা) চায় মুখের ফু দিয়ে দুনিয়া থেকে ইসলামের আলো নিভিয়ে দিতে। অথচ আল্লাহ ইসলামের আলোকে অবশ্যই পূর্ন বিকশিত করবেন এতে তারা যতই অসন্তুষ্ট হউক না কেন।
অন্তর মন্দ কাজের দিকে মানুষকে ধাবিত করে তবে যার উপর আল্লাহর করুনা থাকে সে ব্যতিত। আমার রব বড়ই ক্ষমাশীল ও করুনাময়। সুরা ইউসুফ ৫৩।
আল্লাহ কোন জাতীর ভাগ্য সুপ্রসন্ন করেন না যতক্ষন পর্যন্ত না তারা নিজেদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন করে। আর আল্লাহ যখন কোন জাতীকে মুসিবতে ফেলতে চান তখন তা রদ করার কেউ থাকেনা, এই জাতীর জন্য তখন কোন সাহায্যকারী থাকেনা। সুরা আর রাদ ১১।
বস্তুত আল্লাহর যিকির হচ্ছে এমন এক বস্তু যার মাধ্যমে মানুষের আত্বাগুলো প্রশান্তি লাভ করে থাকে। সুরা আর রাদ ২৮।
(আল্লাহর কুদরতে) এই মাছির পেট থেকে এক ধরনের বিচিত্র রঙ্গের শরবত (মধু) বের হয় যার মধ্যে রয়েছে নিরাময়। অবশ্যই এর মধ্যে এমন এক নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তাশীল। সুরা নাহল ৬৯।
তবে যারা অজ্ঞতার ফলে মন্দ কাজ করে ফেলেছে অতপর আল্লাহর নিকট তওবা করে নিজেদের কর্মধারা সংশোধন করে নিয়েছে অবশ্যই তোমার রব তওবার পর এই সমস্ত লোকদের ক্ষেত্রে ক্ষমাশীল এবং করুনাময়। সুরা নাহল ১১৯।
আমি প্রত্যেকটি মানুষের (ভাল এবং মন্দ) কর্মনীতি তাদের গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি। বিচারের দিন এই কিতাব বের করা হবে তখন প্রত্যেকেই তা খোলা অবস্থায় দেখতে পাবে। সুরা বনী ইসরাঈল ১৩।
যখন আমি কোন জনপদ ধ্বংশ করার সিদ্ধান্ত নেই তখন সেই জনপদের বিত্তশালী লোকদের (অদৃশ্য ইংগিত দেই) ফলে তারা পাপাচারের দিকে ধাবিত হয় তখন সেই জনপদের জন্য আযাবের ফায়সালা হয়ে যায় অতপর (প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে) সেই জনপদ ধ্বংশ করে দেই। সুরা বনী ইসরাঈল ১৬।
কোমলতা এবং দয়ার সাথে তোমরা তোমাদের পিতা মাতার প্রতি বিনয়ী থেক আর আমার নিকট তাদের জন্য দোয়া কর এভাবে (হে প্রভু) তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে তারা আমাদের দয়া ও স্নেহ দিয়ে শৈশব কালে আমাদের লালন পালন করেছেন। সুরা বনী ইসরাঈল ২৪।
তোমরা অবৈধ যৌনাচারের ধারে কাছেও যেওনা নিশ্চয়ই এটা অত্যান্ত মন্দ এবং জঘন্য পথ। সুরা বনী ইসরাঈল ৩২।
আর রজনীতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় কর, ইহা তোমার জন্য নফল, (এই নামাজের বরকতে) অচিরেই (পুরস্কার সরূপ) তোমাকে আল্লাহ উচ্চতম প্রশংসিত স্থানে অধিষ্টিত করবেন। সুরা বনী ইসরাঈল ৭৯।
তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে যাকে তার রবের কিতাবের মাধ্যমে উপদেশ প্রদান করার পরও সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং ভুলে যায় সে মন্দ পরিনতির কথা যা তার দুই হাত কামাই করে রেখেছে। সুরা কাহাফ ৫৭।
(পূর্বের ঈমানদার লোকদের অবস্থা ছিল এই) যখন তাদের সামনে করুনাময় প্রভুর আয়াত শুনানো হত তখন তারা (খোদার ভয়ে) কান্নারত অবস্থায় সিজদায় (মাটিতে) লুটিয়ে পড়ত। পরবর্তিতে এমন সব নির্বোধ লোক স্থলাভিষিক্ত হয় যারা নিজেদের নামাজ (বর্জন করে) ধ্বংশ করল এবং হয়ে গেল প্রবৃত্তির দাস, অতি শিঘ্রই তারা (এই জঘন্য কর্মের জন্য ভয়ংকর) পরিনতির সম্মুখিন হবে। সুরা মারইয়াম ৫৮ এর শেষাংশ এবং ৫৯।
যে ব্যক্তি আমার উপদেশবানী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার জন্য হবে দুনিয়াতে সংকির্ন জীবন এবং বিচার দিবসে আমি তাকে অন্ধ করে উঠাব। সুরা ত্বাহা ১২৪।
মানুষের জবাবদীহিতার সময়টি অত্যান্ত নিকটবর্তী অথচ তারা গাফেল হয়ে (আল্লাহর আনুগত্যে থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সূরা আম্বিয়া ১।
আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি ফলে সত্য মিথ্যাকে চূর্ণ বিচুর্ণ করে দেয় অতপর মিথ্যা ধংশ হয়ে যায়। সূরা আম্বিয়া ১৮।
তিনি সৃজন করেছেন রাত্রি ও দিন এবং চন্দ্র সূর্য (মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্র) প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করে। সূরা আম্বিয়া ৩৩।
যারা চায় মুসলিম সমাজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক তাদের জন্য পরকালে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। সূরা আন নুর ১৯।
চরিত্রহীন মহিলারা চরিত্রহীন পুরুষদের জন্য এবং চরিত্রহীন পুরুষগন চরিত্রহীন মহিলাদের জন্য উপযুক্ত। চরিত্রবান মহিলারা চরিত্রবান পুরুষদের জন্য এবং চরিত্রবান পুরুষগন চরিত্রবান মহিলাদের জন্য উপযুক্ত। সূরা আন নুর ২৬।
হে ঈমানদারগন। নিজেদের গৃহ ব্যতিত অন্যের গৃহে প্রবেশ করোনা যতক্ষন তা তারা অনুমতি না দেয়, আর তোমরা তাদেরকে প্রথমে সালাম করবে, ইহাই তোমাদের জন্য কল্যানকর, আশা করি বিষয়টির দিকে তোমরা খেয়াল রাখবে। সূরা আন নুর ২৭।
যারা ব্যবসা বানিজ্য, ক্রয় বিক্রয় (এবং শত) ব্যস্ততার মধ্যেও আল্লাহর স্বরণ নামাজ কায়েম এবং যাকাত আদায়ে গাফেল হয়না তারা সেদিনকে ভয় করে যেদিন মানুষের অন্তর বিপর্যস্ত এবং দৃষ্টি পাথর হয়ে যাবে। সূরা আন নুর ৩৭।
আর সফলকাম হবে শুধুমাত্র তারাই যারা আল্লাহ ও রাসুলের আদেশগুলো মেনে চলে, আর আল্লাহকে ভয় করে এবং আল্লাহর নাফরমানী (গোনাহের কাজ) থেকে দূরে থাকে। সূরা আন নুর ৫২।
আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তোমাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান আনবে এবং নেক আমল করবে তাদেরকে তিনি ঠিক তেমনিভাবে ইসলামী খেলাফত দান করবেন যেমনিভাবে পূর্বে গত হয়ে যাওয়া উম্মতকে তিনি খেলাফত দান করেছিলেন। সূরা আন নুর ৫৫।
যারা রাসুলের আদেশ অমান্য করে তাদের এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ যে, এজন্য তাদের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি এসে তাদেরকে গ্রাস করবে। সূরা আন নুর ৬৩।
রহমানের প্রকৃত বান্দা তারাই যারা পৃথিবীর বুকে নম্্র (ও বিনয়ের) সঙ্গে চলাফেরা করে এবং নির্বোধ লোকেরা তাদের সঙ্গে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাইলে তাদেরকে বলে দেয় তোমাদের প্রতি সালাম। তারা নিজেদের রবের সামনে সেজদারত থাকে এবং (প্রভুর সামনে) দাড়িয়ে থেকে রাত অতিবাহিত করে। সূরা ফুরকান ৬৩/৬৪।
(যারা আল্লাহকে ভুলে আছে এমন) নিকট আত্নীয় স্বজনদের আল্লাহর ভয় দেখাও। আশ-শুয়ারা ২১৪।
কেউ যদি কোন ভুলক্রটি করে ফেলে অতপর যদি তার গোনাহকে সে (তওবা এবং) নেক আমল দ্ধারা পরিবর্তিত করে নেয় তাহলে আমি (আল্লাহ) তার প্রতি ক্ষমাশীল ও করুনাময়। সুরা আন নামল ১১।
তোমরা অহংকার করোনা কারন অহংকারীদের আল্লাহ মুটেও পছন্দ করোনা। আল কাসাস ৭৬।
তোমরা পৃথিবীতে কলহ সৃষ্টি করো না কারন কলহ সৃষ্টিকারীদের আল্লাহ মুটেও পচ্ছন্দ করেন না। আল কাসাস ৭৭।
মানুষ কি ভেবে নিয়েছে আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আর তাদেরকে পরিক্ষা করা হবে না। অথচ পূর্ববতীদের আমি (বিভিন্নভাবে) পরিক্ষা নিয়েছি। আল্লাহ অবশ্যই দেখবেন (ঈমানের দাবীতে) তোমাদের মধ্যে কে সত্যবাদী এবং কে মিথ্যাবাদী। আল আনকাবূত ২/৩।
আল্লাহর নিকট রিজিক চাও, তারই এবাদত করো, এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো কারন তারই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে। আল আনকাবূত ১৭।
ফেরেস্তাগন লূতকে বলল আমরা আকাশ থেকে দেশবাসীর উপর (ভয়ংকর) শাস্তী অবর্তিণ করতে যাচ্ছি তারা (সমকামের মাধ্যমে) যে পাপকর্ম করে যাচ্ছে তার কারনে। আল আনকাবূত ২/৩।
নিশ্চিতভাবেই নামাজ মানুষকে অশ্লীল এবং মন্দ কর্ম হইতে বিরত রাখে। আল্লাহর স্বরণ অতি মহান। আল্লাহ জানেন তোমরা যাহা কর। আল আনকাবূত ৪৫
দুনিয়ার জীবন ক্রিয়া কৌতুক ব্যতিত আর কিছুই নয়, পরকালের আবাসই হল অতি উত্তম। হায় ! (দুনিয়ার আত্বভোলা) মানুষগুলো যদি ইহা জানত। আল আনকাবূত ৬৪/৬৫।
মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে স্থলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে ফলে মানব (সমপ্রদায়কে দুনিয়াতেই) আল্লাহ কিছু শাস্তী দিয়ে থাকেন যেন তারা (অসৎকর্ম) থেকে ফিরে আসে। আর-রুম ৪১।
আর আমি মানুষকে তার পিতার মাতা সঙ্গে সম্মানজনক আচরন করার জোর নির্দেশ দিয়েছি, মাতা সন্তানকে অত্যান্ত কষ্টের সঙ্গে গর্ভেধারন করে। সুরা লুকমান ১৪।
একটি নিদ্রিষ্ট সময় পর্যন্ত আমি অবাধ্য লোকদের দুনিয়া ভোগ করার সুযোগ দিয়ে থাকি, তারপর তাদেরকে (অনন্তকালের জন্য) পৌছে দেই এক কঠিন শাস্তির দিকে। সুরা লুকমান ২৪।
নিশ্চয় (শেষনবীর জীবন দর্শনে) মহত্তম আদর্শ রয়েছে এমন এক সমপ্রদায়ের জন্য যারা আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে সেই সঙ্গে (চলতে ফিরতে) আল্লাহকে অধিক পরিমান স্বরণ করে। সূরা আল আহযাব ২১।
নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ, মুসলিম নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ, ধৈর্যশীল নারী, বিনয়ী পুরুষ, বিনয়ী নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ, রোজা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী পুরুষ, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্বরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্বরণকারী নারী-তাদের প্রত্যেকের জন্যই আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার। সূরা আল আহযাব ৩৫।
(মুসলমানদেরকে) যখন আল্লাহ এবং রাসুল কোন কাজ সম্পাদন করার হুকুম দেন তখন কোন মুসলিম পুরুষ কিংবা মুসলিম নারীর সেই বিষয়ে এমন কোন এখতিয়ার নেই যে, আল্লাহ এবং রাসুলের আদেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। সূরা আল আহযাব ৩৬।
আল্লাহ এবং তার ফেরেস্তারা নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগন। তোমরাও তার প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও। সূরা আল আহযাব ৫৬।
আর যারা মুসলমান পুরুষ ও নারীদের কোন অপরাধ ছাড়াই কষ্ট দেয় তারা আসলে একটি মিথ্যা অপবাদ এবং (জঘন্য) পাপের বোঝা বহন করে বেড়ায়। সূরা আল আহযাব ৫৮।
হে নবী। আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মুমিন নারীদের বলে দিন তারা যেন (ঘর থেকে বের হওয়ার সময়) চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। সূরা আল আহযাব ৫৯।
(হে মোহাম্মদ) লোকেরা তোমাকে প্রশ্ন করে (কুরআনের প্রতিশ্রুত) কিয়ামত কোন সময় আসবে ? বলুন এর সঠিক সময় একমাত্র আল্লাহ জানেন। হয়ত নিকটেই এসে গেছে। সূরা আল আহযাব ৬৩।
যেদিন (পাপীদের) চেহারা আগুনে উলট পালট করা হবে তখন তারা বলবে হায় ! (দুনিয়াতে থাকাকালে) যদি আল্লাহ এবং তার প্রেরিত রাসুলের হুকুমগুলো মেনে চলতাম। তারা আরও বলবে, হে আমাদের রব, আমরা দুনিয়াতে (পথভ্রষ্ট) নেতা এবং (পথভ্রষ্ট) মুরবি্বদের কথা মেনে চলতাম, (এই সুযোগে) তারা আমাদের অসৎপথে চালিত করত। হে আমাদের রব। তাদেরকে দ্বিগুন শাস্তী প্রদান করুন এবং আপনার গজব দ্ধারা তাদের পরিবেষ্টন করুন। সূরা আল আহযাব ৬৬,৬৭,৬৮।
হে ঈমানদারগন। আল্লাহকে ভয় কর এবং (কোন) কথা বলার সময় (ভেবেচিন্তে) সঠিক কথা বল। সূরা আল আহযাব ৭০।
যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং রাসুলের আনুগত্যে করবে (ইহজগত ও পরজগতে) সে বিরাট সফলতা অর্জন করবে। সূরা আল আহযাব ৭১।
যারা আমার আয়াত (ইসলামের) ক্ষতিসাধন করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তী। সূরা আস-সাবা ৫।
আর (হে রাসুল) আমি তো আপনাকে (বর্তমান এবং অনাগত) সমগ্র মানবজাতীর জন্য সুসংবাদদাতা এবং তীতি প্রদর্শনকারী করে পাঠিয়েছি কিন্তু (দুনিয়ার) অধিকাংশ লোক সেই খবর রাখেনা। সূরা আস-সাবা ২৮।
কখনো এমনটি হয়নি যে, যখন আমি কোন জনপদে রাসুল পাঠিয়েছি তখন সেই জনপদের প্রভাবশালী লোকেরা এই কথা বলেনি যে, তোমরা যে হেদায়েত নিয়ে এসেছে আমরা তা মানিনা। সূরা আস-সাবা ৩৪।
হে নবী। তাদেরকে বল। আমার বান্দাদের মধ্যে থেকে তিনি কারো রিযিক প্রশস্ত করেন আবার কারো রিযিক সংকির্ণ করেন। (তবে মানুসিক সংকির্ণতা পরিহার করে) যা কিছু তোমরা স্রষ্টার পথে ব্যয় কর আল্লাহ এর বিনিময়ে তোমাদের রিযিক অধিক বাড়িয়ে দেন ! তিনি অন্য সব রিযিকদাতার চেয়ে উত্তম রিযিকদাতা। সূরা আস-সাবা ৩৯।
আল্লাহ যদি (কোন) মানুষের জন্য কল্যানের দরজা খুলে দেন তাহলে তা বন্ধ করার কেহ নেই, আর আল্লাহ যদি (কোন) মানুষের জন্য কল্যানের দরজা বন্ধ করে দেন তাহলে তা খুলে দেওয়ার কেহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। সূরা ফাতির ২।
হে মানবজাতী। (প্রতিদান দিবসের ব্যপাড়ে) আল্লাহর ওয়াদা নিশ্চিতভাবেই সত্য, সুতরাং দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদের প্রতারিত না করে এবং (অভিশপ্ত) শয়তানও যেন আল্লাহর ব্যপাড়ে তোমাদের ধোকায় না ফেলে। সূরা ফাতির ৫।
আল্লাহ যখন কোন কিছু করার ইচ্ছা করেন তখন তিনি শুধু বলেন হও আর সঙ্গে সঙ্গে সেই কাজটি সম্পূর্ন হয়ে যায়। সূরা ইয়াসিন ৮২।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ তারাই হবে যারা নিজের পরিবার পরিজনকে (ঈমানের পথে পরিচালনা না করে) তাদের ক্ষতিসাধন করেছে। মনে রেখ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি। সূরা আয-যুমার ১৫।
আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন তাকে কেহ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। সূরা আয-যুমার ৩৭।
যে হেদায়েতের পথে আসে সে তার নিজের কল্যানের জন্যই আসে আর যে পথভ্রষ্ট হয় এর মন্দ পরিনতি তাকেই ভোগ করতে হবে। সূরা আয-যুমার ৪১।
(হে নবী) বল। যারা গোনাহের কাজ করে নিজেদের আত্বার উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, (অনুতপ্ত হয়ে পূনরায় সে নিষিদ্ধ কাজ না করার ওয়াদা করলে নিশ্চিতভাবেই) আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। সূরা আয-যুমার ৫৩।
(প্রশান্তচিত্তে) ফিরে এসো তোমার রবের পথে এবং তার হুকুম সমুহ মেনে চল শাস্তী নির্ধারন হওয়ার পূর্বেই অন্যথায় পরে কিন্তু (হৃদয় বিদারক চিৎকারেও) আর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। সূরা আয-যুমার ৫৪।
সেদিন পৃথিবী রবের নুরে আলোকিত হয়ে যাবে, মানুষের আমলনামা উপস্থিত করা হবে, নবী রাসুল এবং সমস্ত স্বাক্ষীদেরও উপস্থিত করা হবে, সেদিন সকলের মধ্যে ন্যয় বিচার করা হবে, কাহারো প্রতি সামান্যতম যুলুম করা হবে না। সূরা আয-যুমার ৬৯।
(হে মুমিনগন) আল্লাহ কিন্তু তোমাদের চোখের লুকোচূরি ও মনের গোপন কথা সবই জানেন। সূরা আল মুমিন ১৯।
হে মানব সমপ্রদায়। আমি তোমাদের জন্য এমন একটি কঠিন দিনের আশংকা করছি, যেদিন তোমরা পিছনের দিকে দৌরে পালাতে থাকবে কিন্তু (সেই ভয়ংকর মুহুর্তে) সেদিন তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না। আর আল্লাহ যাকে (তার মন্দ কর্মের জন্য) পথভ্রষ্ট করে দেন তার জন্য দুনিয়াতে কোন পথপ্রদর্শক নেই। সূরা আল মুমিন ৩৩।
(নিশ্চিতভাবেই) আমি সাহায্য করব দুনিয়ার জীবনে রাসুলদেরকে এবং (তার অনুসারী) মুসলমানদেরকে। এবং সেদিনও সাহায্য করব যেদিন স্বাক্ষ্য দাতাগন উপস্থিত হবে। সূরা আল মুমিন ৫১।
মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে মহাকাশ ও পৃথিবী নির্মান করা অনেক কঠিন কাজ কিন্তু (দুনিয়ার) অধিকাংশ মানুষ সেই বিষয়টি উপলদ্ধি করে না। সূরা আল মুমিন ৫৭।
আর (সেইসব) মুশরিকদের রয়েছে দূর্ভোগ, যারা যাকাত আদায় করে না, (আসলে) তারা পরকালকেই অস্বীকার করে। সূরা হামীম সেজদাহ ৬/৭।
আল্লাহর দ্বীনের দিকে যে মানুষকে আহবান করে এবং নিজে নেক আমল করে আর বলে আমি মুসলমানদের মধ্যে থেকে একজন। তার চেয়ে উত্তম কথা আর কি হতে পারে। সূরা হামীম সেজদাহ ৩৩।
ভাল মন্দ কখনো সমান নয়, (নির্বোধ লোকদের অপ্রিতিকর প্রশ্নের জবাবে) সেই কথাই বল যাহা অতি উৎকৃষ্ট (ও বিচক্ষনতাপূর্ন) তাহলে দেখবে যে লোকটি তোমার শত্রু ছিল সে হয়ে গেছে তোমার বন্ধু ! একমাত্র ধৈর্যশীল ব্যক্তি ছাড়া এই গুনাবলী কেহ অর্জন করতে পারে না এবং এরাই হচ্ছে ভাগ্যবান। সূরা হামীম সেজদাহ ৩৪/৩৫।
যদি কখনো অনূভুত হয় শয়তান তোমাদের মনের মধ্যে কোন মন্দ কর্মের প্রেরনা দিচ্ছে (তখন দেরি না করে) আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। সূরা হামীম সেজদাহ ৩৬।
নিশ্চয় কুরআন আসার পর যারা তা অমান্য করে তাদের মধ্যে সুস্থ চিন্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ইহা অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ। সূরা হামীম সেজদাহ ৪১।
এই কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়াত এমনকি রোগ মুক্তি, কিন্তু যারা বিশ্বাসী নয় এই কুরআন তাদের অবাধ্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এদের অবস্থা হল এমন যেন বহু দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে। সূরা হামীম সেজদাহ ৪৪।
আমি দুনিয়াব্যপী (বিভিন্নভাবে) আমার নিদর্শন দেখাব এবং দেখাব অবিশ্বাসীদের মধ্যেও যাতে করে এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কুরআন সত্য। সূরা হামীম সেজদাহ ৫৩।
তোমরা জেনে রেখ (অবিশ্বাসীরা) পালনকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যপাড়ে সন্দেহে পতিত রয়েছে, শুনে রাখ যে, আল্লাহ সবকিছুকে ঘেরাও করে আছেন। সূরা হামীম সেজদাহ ৫৪।
(মানুষের কুকর্মের ফলে) আকাশ (দুনিয়াবাসীর উপর) ফেটে পড়ার উপক্রম হয় ! (ভয়ংকর এই দৃশ্য দেখে) তখন ফেরেস্তাগন তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং দুনিয়াবাসীর জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ! জেনে রাখ, আল্লাহ মানুষের উপর ক্ষমাশীল ও করুণাময়। আশ-শূরা ৫।
মানুষের নিকট জ্ঞান আসার পরই নিজেরা বিভেদে জড়িয়ে মতভেদে লিপ্ত হয়েছে। আশ-শূরা ১৪।
(বস্তুত) পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদের পর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তারাই সবচেয়ে বেশি সন্দেহে পতিত রয়েছে। আশ-শূরা ১৪।
যে ব্যক্তি পরকালের সম্পদ কামনা করে আমি তার জন্য সেই সম্পদ বাড়িয়ে দেই, আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার সম্পদ কামনা করে আমি তার কিছু অংশ দিয়ে দেই কিন্তু পরকালে এদের জন্য কোন অংশ থাকবে না। আশ-শূরা ২০।
তোমাদের উপর যে সমস্ত বিপদ আপদ এসে উপস্থিত হয় তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল, আর আল্লাহ তোমাদের বহু গোনাহ (এমনিতেই) ক্ষমা করে দেন। আশ-শূরা ৩০।
যে ধৈর্য ধারণ করে এবং (মানুষ কোন অন্যায় আচরণ করলে) তাদেরকে ক্ষমা করে দেয় নিশ্চয়ই ইহা একটি উত্তম কাজ। আশ-শূরা ৪৩।
বিচারের দিন তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে যারা (আল্লাহর আদেশ অমান্য করে) নিজেদের এবং পরিবার পরিজনকে (ঈমানের পথে পরিচালনা না করে) ক্ষতিসাধন করেছে। আশ-শূরা ৪৫।
পূর্বে আমি যেখানেই সতর্ককারী পাঠিয়েছি তখন সেই জনপদের ধনী লোকেরা বলত আমরা আমাদের বাপ দাদাদের যে পথে চলতে দেখেছি আমরা তার অনুসরণ করছি মাত্র। সূরা যুখরুফ ২৩।
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্বরণ থেকে গাফেল বা উদাসিন থাকে আমি তার ঘারের উপর একটি শয়তান চাপিয়ে দেই অতপর সে হয় তার সঙ্গি। সূরা যুখরুফ ৩৬।
শয়তান মানুষকে (কুমন্ত্রনার মাধ্যমে) আল্লাহর পথে চলতে বাধা দান করে অথচ মানুষ মনে করে সে সঠিক পথেই চলছে। সূরা যুখরুফ ৩৭।
(বিচারের) সেই (ভয়ংকর) দিনে একমাত্র পরহেজগার ব্যতিত (অন্যরা যারা দুনিয়াতে বন্ধু বানিয়েছিল) প্রত্যেকেই তখন একে অপরের শত্রু হয়ে যাবে ! সূরা যুখরুফ ৬৭।
তোমাদের মধ্যে এবং পৃথিবীতে যে সমস্ত জীব জন্তু রয়েছে তাদের মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন এক সমপ্রদায়ের জন্য যারা ঈমান আনে। সূরা আল জাসিয়াহ ৪।
(হে নবী) যারা ঈমান এনেছে তাদের বলে দিন, আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি কঠিন দিন আসার আশংকা যা দের নেই সেই সমস্ত মুর্খ লোকদের বিদ্রোহাত্বক আচরন যেন তারা ক্ষমা করে দেয় যাতে তিনি একটি দলকে তাদের কৃতকর্মের বদলা দিয়ে দেন। সূরা আল জাসিয়াহ ১৪।
এই কুরআন মানুষের জন্য অন্তরদৃষ্টির আলো এবং ঈমানদারদের জন্য সুষ্পষ্ট হেদায়েত ও রহমত। সূরা আল জাসিয়াহ ২০।
যে সমস্ত লোক গোনাহের কাজে লিপ্ত রয়েছে তারা কি মনে করে নিয়েছে যে, তাদের মর্যাদা পরহেজগারদের মত ? তারা কি এও মনে করে নিয়েছে যে, পরহেজগারদের পবিত্র জীবন মৃতু্যর মত তাদের জীবন মৃতু্য সমান ? আসলে (জীবন দর্শন সম্পর্কে) তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত অত্যান্ত জঘন্য। সূরা আল জাসিয়াহ ২১।
তুমি কি সেই ব্যক্তির কথা ভেবে দেখেছ যে তার অন্তরের কামনা বাসনাকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে আর জ্ঞান অর্জন করা সত্বেও আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট রেখেছেন ! তার অন্তরে কানে কুফরীর সীল মেরে দিয়েছেন এবং চোখের উপর পর্দা টেনে দিয়েছেন। আল্লাহ ছাড়া এমন কে আছে যে এমন (হতভাগ্য) লোকদের হেদায়েতের সন্ধান দিতে পারে। (শিক্ষিত লোকদের উপর পতিত এই গযব দেখেও কি) তোমরা শিক্ষা গ্রহন কর না। সূরা আল জাসিয়াহ ২৩।
আমি তোমাদের আশেপাশের বহু জনপদ ধ্বংশ করে দিয়েছি, আমি (রাসুলদের মাধ্যমে) আমার আয়াত সমুহ পাঠিয়ে মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়েছি যেন তারা পাপকর্ম থেকে বিরত হয়। সূরা আল আহক্কাফ ২৭।
যারা (ইসলামের সত্যতাকে) অস্বীকার করেছে এবং আল্লাহর পথে চলতে মানুষকে (বিভিন্নভাবে) বাধা প্রদান করেছে আল্লাহ তাদের সকল কর্মপ্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। সূরা মুহাম্মাদ ১।
যারা আল্লাহর পথে নিহত হবে আল্লাহ কখনো তাদের নেক আমল সমুহ ধ্বংশ করবেন না। সূরা মুহাম্মাদ ৪।
হে ঈমানদারগন, (যথাযথভাবে ইসলাম প্রচার প্রসারের দায়িত্ব পালন করে) তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য কর তাহলে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং (দুনিয়ার বুকে) তোমাদের পা সূদৃয় করবেন। সূরা মুহাম্মাদ ৭।
তারা কি আমার কুরআনের (বিষয়বস্তুর) উপর চিন্তা ভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূরা মুহাম্মাদ ২৪।
হে ঈমানদারগন। আল্লাহর আনুগত্যে কর সেই সঙ্গে রাসুলের আনুগত্যে কর। (আল্লাহ এবং রাসুলের হুকুম সমুহ অমান্য করে ) তোমরা তোমাদের সৎকর্ম সমুহ ধ্বংশ করে দিওনা। সূরা মুহাম্মাদ ৩৩।
তোমাদেরকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে অর্থ সম্পদ ব্যয় করতে আহবান জানানো হচ্ছে আর তোমাদের মধ্যেকার কিছু লোক কৃপনতা করছে। যারা কৃপনতা করছে তারা আসলে নিজেদের সঙ্গেই কৃপনতা করছে। যারা কৃপন তারা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের সঙ্গেই কৃপনতা করছে। আল্লাহ অভাবশুন্য। তোমরা তার মুক্ষাপেক্ষি। যদি তোমরা আল্লাহর হুকুম থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে তিনি তোমাদের ধ্বংশ করে অন্যে কোন জাতী তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন যারা তোমাদের মত অবাধ্য হবে না। সূরা মুহাম্মাদ ৩৮।
আল্লাহ এবং শেষনবীর প্রতি যারা বিশ্বাস স্থাপন করেনি তাদের জন্য আমি অত্যান্ত ভয়ংকর অগ্নী প্রস্তুত করে রেখেছি। সূরা আল ফাতহ ১৩।
হে ঈমানদারগন। কোন ফাসেক যদি তোমাদের নিকট কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে অনুসন্ধান কর সে সত্য বলছে কিনা, এমন যেন না হয় তোমরা তার কথা শুনে কাহারো উপর চরাও হয়ে যাবে অতপর তোমাদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে। সূরা আল হুজুরাত ৬।
মুসলমানদের মধ্যে থেকে দুইটি দল (বা দুই ব্যক্তি) যদি ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের মধ্যে মিমাংসা করে দাও। তারপরও যদি একটি অপরটির প্রতি বাড়াবাড়ি করে তাহলে যে দল (বা ব্যক্তি) বাড়াবাড়ি করে তাদের সঙ্গে লড়াই কর যতক্ষন পর্যন্ত না তারা আল্লাহর (নির্দেশিত সত্যে) পথে ফিরে আসে। সূরা আল হুজুরাত ৯।
মুমিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যেকার সম্পর্ক ভাল করে দাও এতে আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হইবে। সূরা আল হুজুরাত ১০।
হে ঈমানদারগন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে কটাক্ষ না করে হতে পারে যাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে সে উত্তম। কোন নারীও যেন অপর কোন নারী কে কটাক্ষ না করে হতে পারে যাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে সে উত্তম। সূরা আল হুজুরাত ১১। (একাংশ)
হে ঈমানদারগন। তোমরা ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারন অনেক ধারনা অনুমান গোনাহ। মানুষের দোষ অনুসন্ধান করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে ? বস্তুত তোমরা তা অপছন্দই করবে। আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা কবুলকারী ও দয়ালু। সূরা আল হুজুরাত ১২।
আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তাদের অন্তরজগতে যে সমস্ত মন্দ চিন্তার উদয় হয় সেগুলোও আমি জানি, আমিত মানুষের ঘারের চেয়েও অধিক নিকটে অবস্থান করছি। প্রতিনিয়ত দুইজন ফেরেস্তা মানুষের (ভাল মন্দ) কর্ম সমুহ লিপিবদ্ধ করে যাচ্ছে। সূরা ক্কাফ ১৬/১৭।
(সেই সব লোক) ধ্বংশ হয়েছে যারা অনুমাণ ও ধারনা করে কথা বলে। সূরা আয যারিয়াত ১০।
তোমরা (ঈমানদারদেরকে বিনয়ের সঙ্গে) উপদেশ দিতে থাক কারন উপদেশ ঈমানদারদের জন্য উপকারী। সূরা আয যারিয়াত ৫৫।
জ্বীন এবং মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুমাত্র আমার আনুগত্যে করার জন্য। সূরা আয যারিয়াত ৫৬।
সেই (ভয়ংকর দিন) আসার পূর্বে দুনিয়াতেই জালেমদের জন্য একটি শাস্তি আছে কিন্তু তাদের অধিকাংশই এই বিষয়টি জানে না। আত তুর ৪৭।
মানুষ দুনিয়াতে যা চায় তাই কি পায় ? সূরা আন নাজম ২৪।
তোমাদের পালনকর্তাই ভাল জানেন কে সঠিক পথ থেকে বিচু্যত হয়ে আছে এবং কে সঠিক পথে অবস্থান করছে। সূরা আন নাজম ৩০।
যারা বড় বড় গোনাহ এবং অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকে তাদের ছোট গোনাহগুলোর ক্ষেত্রে আল্লাহর ক্ষমা প্রশস্ত। সূরা আন নাজম ৩২। একাংশ
আমি কুরআনকে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি, অতএব তোমাদের মধ্যে কোন চিন্তাশীল আছে কি (কুরআন বুঝার চেষ্টা করবে) সূরা আল ক্কামার ১৭।
ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না। সূরা আর রাহমান ৯।
একদিন ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংশ হয়ে যাবে শুধুমাত্র মহীয়ান গরিয়ান আল্লাহর সত্বা ছাড়া। সূরা আর রাহমান ২৬/২৭।
ঈমানদারদের কি এখনো সময় হয়নি আল্লাহর স্বরণে তাদের অন্তর বিগলিত হবে এবং আল্লাহর নাযিলকৃত হেদায়েতের অনুসরণ করবে। সূরা আল হাদীদ ১৬।
দানশীল পুরুষ ও দানশীলা নারী যারা আল্লাহকে ধার দেয়, তাদেরকে ফেরত দেওয়া হবে বহুগুন এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পুরষ্কার। সূরা আল হাদীদ ১৮।
মুমিনদের উচিৎ (সকল ভাল কাজে) শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা। সূরা আল মুজাদালাহ ১০।
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা কিতাবের জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। সূরা আল মুজাদালাহ ১১।
আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা করছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী। সূরা আল হাশর ১।
যে ব্যক্তি আল্লাহর (নাযিলকৃত দ্বীন ইসলামের) বিরোধীতা করে তার জেনে রাখা উচিৎ যে আল্লাহ অত্যান্ত কঠিন শাস্তীদাতা। সূরা আল হাশর ৪।
রাসুল তোমাদের যে সমস্ত আদেশ দিয়েছেন সেগুলো মেনে চল এবং যে সমস্ত কাজ করতে নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাক আর আল্লাহকে ভয় কর কারন তিনি কঠিন শাস্তীদাতা। সূরা আল হাশর ৭।
যাদের মন কৃপনতা থেকে মুক্ত শুধুমাত্র তারাই সফলকাম। সূরা আল হাশর ৯।
হে মুমিনগন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক ব্যক্তির লক্ষ রাখা উচিৎ আগামীকাল (আখেরাতে শাস্তী থেকে বাচার জন্য) জন্য সে কি আমল প্রেরন করেছে। আল্লাহকে ভয় করে চল। আল্লাহ ভালভাবেই জানেন তোমরা যা কর। সূরা আল হাশর ১৮।
তোমরা তাদের মত হয়ে যেয়ো না যারা আল্লাহকে ভুলে (শাস্তীর যোগ্য হয়ে) গেছে ফলে আল্লাহ তাদের আত্বভোলা বানিয়ে রেখেছেন। এরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট। সূরা আল হাশর ১৯।
তোমরা (অবিশ্বাসীদের) সঙ্গে বন্ধুত্ব করছ অথচ তোমাদের নিকট যে সত্য (দ্বীন ইসলাম) এসেছে তারা তা মানতে অস্বীকার করে। সূরা আল মুমতাহিনা ১।
বিচারের দিন আত্বীয় স্বজন ও সন্তান সন্ততি তোমাদের কোনই কাজে আসবে না। তিনি সেদিন তোমাদের মধ্যে চূরান্ত ফায়সালা করবেন। আল্লাহ দেখেন তোমরা যা কর। সূরা আল মুমতাহিনা ৩।
আজকে যারা তোমাদের শত্রু হয়ে আছে আল্লাহ চাইলে তাদের সঙ্গে তোমাদের বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দিবেন। আল্লাহ প্রচন্ড ক্ষমতাবান, ক্ষমাশীল ও করুনাময়। সূরা আল মুমতাহিনা ৭।
হে মুমিনগন। এমন কথা কেন তোমরা বল যা তোমরা নিজে আমল কর না। আল্লাহর নিকট ইহা অত্যান্ত নিকৃষ্ট কাজ যে, তোমরা মানুষকে উপদেশ দিয়ে বেড়াবে অথচ নিজেরা সেগুলো মেনে চলবে না। সূরা আস সফ ২,৩।
স্বরণ কর, যখন মরিয়মের পুত্র ঈসা বলল, হে বনী ইসরাইল, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল, আমি তোমাদের উপর পূর্বে নাযিলকৃত তাওরাত কিতাবের সত্যতা সমর্থনকারী। এবং আমি এমন একজন রাসুলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আগমন করবেন। (জেনে রেখ) তার নাম হবে আহমাদ। অতপর যখন (শেষনবী আহমাদ) সুস্পষ্ট প্রমানাদি নিয়ে আগমন করল তখন (অমুসলিম সমপ্রদায়) বলল ইহাত এক স্পষ্ট জাদু। সূরা আস সফ ৬।
তারা মুখের ফু দিয়ে আল্লাহর নূর (ইসলাম) নিভিয়ে দিতে চায় অথচ আল্লাহ একে পূর্নরূপে বিকশিত করবেন ইহা অবিশ্বাসীরা যতই কষ্ট অনুভব করুক না কেন। সূরা আস সফ ৮।
তিনিই তার রাসুল (মুহাম্মদকে) দ্বীনে হক্ক দিয়ে পাঠিয়েছেন যেন অন্য মতাদর্শগুলোর উপর দ্বীন ইসলাম বিজয়ী হতে পারে। যদিও মুশরিকরা ইহা অপছন্দ করে। সূরা আস সফ ৯।
হে ঈমানদারগন। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি বানিজ্যের কথা বলব যা তোমাদের যন্ত্রনাদায়ক শাস্তী থেকে রক্ষা করবে ? আর তা হল তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের উপর ঈমান আনবে এবং আল্লাহর পথে (ইসলাম প্রচার প্রসারে) নিজেদের ধন সম্পদ ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করবে। ইহাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে। সূরা আস সফ ১০,১১।
হে ঈমানদারগন। তোমরা আল্লাহর (দ্বীন ইসলামের) সাহায্যকারী হয়ে যাও। সূরা আস সফ ১৪।
মহাকাশে যা কিছু আছে এবং যমিনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা করছে, তিনি রাজাধিরাজ, মহা পবিত্র, পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। সূরা আল জুমুআহ ১।
হে ঈমানদারগন, জুমুআর দিন যখন নামাজের আযান দেওয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্বরনে (মসজিদের) দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় বন্ধ কর, এই কর্মপন্থাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে। সূরা আল জুমুআহ ৯।
যখন তোমাদের নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন আমার অনুগ্রহ সন্ধান করার জন্য যমিনে ছড়িয়ে পর এবং (কর্মক্ষেত্রে গিয়ে নিজের যোগ্যতার উপর নির্ভর না করে) আমাকে খুব বেশি বেশি স্বরণ করতে থাক, যেন তোমরা সফলতার দ্ধারপ্রান্তে উপনিত হতে পার। সূরা আল জুমুআহ ১০।
মুনাফিকরা তাদের (ঈমানের) শপথকে ঢালসরূপ ব্যবহার করে, (তারা মুসলিম সমাজে থেকে বিভিন্ন কর্মপ্রদ্ধতি অবলম্বন করে) যেন মানুষ হেদায়েতের পথে আসতে না পারে, কতইনা মন্দ এই সমস্ত কাজ। এর প্রকৃত কারন হল তারা ঈমান এনে পূনরায় (ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে আল্লাহর সঙ্গে) কুফরি করেছে যার ফলে আল্লাহ তাদের অন্তকরণ হেদায়েতের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন, আর এই জন্যই তারা কিছুই বুঝতে পারে না। আল মুনাফিকুন ২,৩।
হে নবী আপনি (ইসলাম বিদ্বেসী মুনাফিকদের জন্য) আল্লাহর নিকট দোয়া করুন বা না করুন উভয়ই সমান, আল্লাহ মুনাফিকদের কখনোই ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ কখনো পাপাচারি সমপ্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না। আল মুনাফিকুন ৬।
হে ঈমানদারগন। তোমাদের ধন সম্পদ সন্তানাদি যেন আল্লাহর স্বরণ থেকে উদাসিন না করে কেননা যারা এসব কারনে আল্লাহর স্বরণ থেকে উদাসিন হয় তারাই চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আল মুনাফিকুন ৯।
আমি তোমাদেরকে যে রিজিক (অর্থ সম্পদ) দান করেছি সেখান থেকে মৃতু্য আসার পূর্বেই (ধর্মিয় কল্যান ও মানব কল্যানে) খরচ কর। অন্যথায় মৃতু্যর পর সে বলবে, আমাকে আরও কিছুদিন দুনিয়াতে বাচিয়ে রাখলে না কেন ? তাহলেত আমি খরচ করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তভর্ুক্ত হয়ে যেতাম। আল মুনাফিকুন ১০।
যে ব্যক্তি ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে আমি তার গোনাহ সমুহ ক্ষমা করবেন, তাকে প্রবেশ করানো হবে এমন জান্নাতে যার তলদেমে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে সে চিরকাল থাকবে, আর এটাই হল বিরাট সফলতা। সূরা আত-তাগাবুন ৯।
আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিত মানুষের উপর কোন বিপদ আসে না। (বিপদে পরে অধৈর্য না হয়ে) যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস পোষন করে আল্লাহ তার আত্বাকে সরল পথের দিকে ধাবিত করেন। আল্লাহ সবকিছু জানেন। সূরা আত-তাগাবুন ১১।
আল্লাহ ব্যতিত আর কোন ইলাহ নেই অতএব মুমিনদের কেবলমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ। সূরা আত-তাগাবুন ১৩।
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে আল্লাহ তাকে সকল প্রকার সংকট (ও অনিশ্চয়তা) থেকে নিস্কৃতি দান করবেন এবং তার জন্য এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করা হবে যা তার ধারণাও ছিলনা। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট, আল্লাহ তার সকল কাজ সহজ করবেন। সূরা অত্ব-ত্বালাক ২,৩।
হে ঈমানদারগন। তোমরা নিজেদের এবং তোমার পরিবার পরিজনকে সদুপদেশ প্রদান করার মাধ্যমে জাহান্নামের সেই (ভয়ংকর) আগুন থেকে বাচাও যাহার ভিতর প্রবেশ করবে মানুষ ও পাথর। সূরা আত-তাহরীম ৬।
হে ঈমানদারগন। তোমরা আল্লাহর নিকট তোমাদের গোনাহের জন্য আন্তরিকভাবে তওবা কর আশা করা যায় এর ফলে আল্লাহ তোমাদের মন্দ আমলগুলো দূর করে দিবেন। সূরা আত-তাহরীম ৮।
তিনি সৃষ্টি করেছেন মৃতু্য ও জীবন যেন তিনি পরিক্ষা করতে পারেন কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। সূরা আল মুলক ২।
অবিশ্বাসীদের বলে দিন। আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা। সেই সঙ্গে তোমাদের দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি এবং (চিন্তা করার জন্য) অন্তর, তোমরা অল্পই এই সমস্ত নেয়ামতের শোকরিয়া আদায় করে থাক। সূরা আল মুলক ২৩।
কেয়ামতের দিন (যারা দুনিয়াতে নামাজ আদায় করেনি তাদেরকে) সেজদা করতে বলা হবে অতপর তারা সেজদা করতে পারবে না, তাদের দৃষ্টি থাকবে সেদিন লজ্জায় অবনত, তারা হবে (কঠিন) লাঞ্চনাগ্রস্ত। অথচ তারা যখন সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল তখন তাদেরকে সেজদার জন্য আহবান করা হত। সূরা আল কলম ৪২,৪৩।
কুরআন সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য একটি উপদেশ। সূরা আল কলম ৫২।
পাপাচারিরা বিচারের দিন শাস্তী থেকে বাচার জন্য মুক্তির বিনিময় সরূপ নিজেদের সন্তান সন্ততি, নিজের স্ত্রী, আপন ভাই, এবং তাকে যে সমস্ত আপনজন আশ্রয় দিত তাদেরকে এমনকি (সে যদি সমগ্র দুনিয়ার মালিক হয়ে থাকে) সবই সেদিন দিতে চাইবে শুধু নিজেকে শাস্তী থেকে বাচানোর জন্য। কখনো নয় (বরং সে দেখবে) আগুনের লেলিহান শিখা। যে আগুন তার চামড়া পর্যন্ত পূড়ে ফেলবে। সূরা আল মাআরিজ ১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬।
যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসুলের আদেশ অমান্য করে চলবে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেটাই হবে তার চির আবাস্থল। সূরা আল জিন ২৩।
হে চাদর আবৃত ব্যক্তি। (ঘুম থেকে উঠো) এবং নফল নামাজের জন্য দন্ডায়মান হও রাত্রের কিছু অংশ বাদ দিয়ে। (আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার জন্য নামাজ আদায় কর) অর্ধেক রাত পর্যন্ত অথবা তার চেয়ে কিছু কম সময় ধরে। অথবা তার চেয়েও বেশি এবং কুরআন আবৃতি কর ধিরে ধিরে। সূরা আল মুযযাম্মিল ১,২,৩,৪।
নিশ্চয়ই (নফল নামাজ আদায়ের জন্য) রাত জাগরন প্রবৃত্তিকে দমন করার ক্ষেত্রে অতিশয় কার্যকর। এবং কুরআন আবৃত্তির উপযুক্ত সময়। সূরা আল মুযযাম্মিল ৬।
হে চাদর আবৃত ব্যক্তি। ঘুম থেকে উঠো। আত্বভোলা লোকদের সতর্ক কর। পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা কর। নিজের পোশাক পবিত্র রাখ। অপবিত্রতা থেকে দুরে থাক। সূরা আল মুদ্দাসসির ১,২,৩,৪,৫।
পাপাচারিদের সেদিন জিজ্ঞাসা করা হবে কেন তোমরা জাহান্নামের অধিবাসী হলে ? তারা বলবে আমরা নামাজ আদায় করতাম না এবং অভাবগ্রস্থদের খাবার দিতাম না। সূরা আল মুদ্দাসসির ৪১,৪২,৪৩,৪৪।
অবিশ্বাসীরা প্রশ্ন করে কেয়ামত (মহা বিপর্যয়) কোনদিন আসবে। যখন মানুষের চক্ষু সমুহ (বন্ধ না হয়ে) স্থির হয়ে যাবে ! চাদ যখন তার আলো হারিয়ে ফেলবে ! এবং চন্দ্র সূর্যকে একত্রিত করা হইবে ! (ভয়ংকর এই অবস্থায় পতিত হয়ে) সেদিন মানুষ বলে উঠবে এখন কোথায় পালানো যেতে পারে ? কখনো না। সেদিন পালানোর কোন জায়গা থাকবে না। তোমাদের সবাইকে সেদিন কৃতকর্মের হিসাব দেওয়ার জন্য তোমাদের রবের সামনে দাড়াতে হবে। সূরা আল কেয়ামাহ ৬-১২।
মানুষের উপর দিয়ে এমন একটি (রহস্যময়) সময়ও অধিবাহিত হয়েছে যখন সে কোন উল্লেখযোগ্য বস্তুই ছিল না। সূরা আদ দাহর ১।
ধৈর্য সহকারে তোমার রবের আনুগত্যে করতে থাক। পথভ্রষ্ট লোকদের অনুগত্যে করো না। সকাল সন্ধায় আল্লাহর যিকির কর। রাত্রের কিছু অংশে তার সামনে সিজদাবনত হও এবং রাত্রে দির্ঘ সময় পর্যন্ত তার পবিত্রতা ঘোষনা কর। সূরা আদ দাহর ২৪,২৫,২৬।
(আসলে বিচারের) সেই দিন ধ্বংশ অপেক্ষা করছে মিথ্যা রচনাকারীদের জন্য। সূরা আল মুরসালাত ১৫।
বিচারের দিন ফেরেস্তাগন (রবের সম্মুখে) সারীবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে যাবে, দয়াময় প্রভু সেদিন যাকে অনুমতি দিবেন সে ব্যতিত আর কেহ কথা বলতে পারবে না। যে কথা বলবে সে সত্য বলবে। সূরা নাবা ৩৮।
(বিচারের) সেই দিনটি (কিন্তু) সত্য। (অতএব) যার ইচ্ছা সে তার রবের পথে চলার প্রস্তুতি গ্রহন করুক। সূরা নাবা ৩৯।
যখন মহা বিপর্যয় এসে পরবে তখন মানুষ তার কৃতকর্ম স্বরণ করতে থাকবে, সেদিন জাহান্নাম সকলের সম্মুখে উপস্থিত করা হইবে তখন যে ব্যক্তি (পাপ কর্মে) সীমালংঘন করেছিল এবং (আল্লাহকে ভুলে) দুনিয়ার জীবনকে আখেরাতের উপর প্রধান্য দিয়েছিল তার চূরান্ত আবাস্থল হবে জাহান্নাম। সূরা আন নাযিআত ৩৪-৩৯।
পক্ষান্তরে যারা রবের সম্মুখে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং অন্তরকে খারাপ কামনা বাসনা থেকে বিরত রেখেছে তার ঠিকানা হবে জান্নাত। সূরা আন নাযিআত ৪০-৪১।
যেদিন (মানুষ ৫০,০০০ বৎসরের) বিচারের লম্বা দিনটি দেখবে সেদিন মানুষ মনে করবে দুনিয়াতে তারা এক সকাল কিংবা এক সন্ধা অবস্থান করেছে মাত্র। সূরা আন নাযিআত ৪৬।
মানুষ কখনো রবের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়নি এবং (স্রষ্টার প্রতিনিধিত্ব করার) যে দায়িত্ব দিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছিল সে দায়িত্বও সে (সঠিকভাবে) পালন করেনি। সূরা আবাসা ২৩।
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, আমি আশ্চর্য উপায়ে যমিনে পানি বর্ষন করেছি, অতপর ভূমি বিদির্ণ করেছি, অতপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য, আঙ্গুর, শাক-সবজী, যয়তুন, খেজুর, ঘন উদ্যান, ফল এবং ঘাস, তোমাদের এবং তোমাদের গৃহপালিত পশুর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরন। সূরা আবাসা ২৪-৩২।
অতপর যখন কান ফাটানো (সেই ভয়ংকর) আওয়াজ (পৃথিবীর দিকে) আসবে তখন মানুষ ভয়ে পালাতে থাকবে নিজের আপন ভাইয়ের কাছ থেকে, (পালাতে থাকবে) তার মাতা, তার পিতা, তার স্ত্রী, ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে এমন চিন্তিত থাকবে যে, তাকে সে চিন্তা ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে (ফলে আপনজনকে পর্যন্ত মানুষ ভুলে যাবে) সূরা আবাসা ৩৩-৩৭।
যখন আকাশ ফেটে পড়বে। যখন মহাকাশের নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে। যখন সমুদ্রগুলোকে (প্রচন্ড বিস্ফোরনের) মাধ্যমে উত্তাল করে তোলা হবে। যখন কবর সমুহ খুলে দেওয়া হবে। তখন প্রত্যেকটি মানুষ জেনে যাবে যে, সে (এই জীবনের জন্য) কি আমল পাঠিয়েছে এবং কি আমল সে পিছনে ফেলে এসেছে। সূরা আল ইনফিতার ১-৫।
হে মানুষ। কোন জিনিষ তোমাদেরকে তোমাদের মহান রবের ব্যপাড়ে ধোকায় ফেলে রাখলো ? সূরা আল ইনফিতার ৬।
তাদের জন্য ধ্বংশ অনিবার্য যারা মাপে কম দেয়। তাদের অবস্থা হল (মাল ক্রয় করতে গিয়ে) মেপে নেওয়ার সময় পূর্ন মাত্রায় মেপে নেয় (কিন্তু ক্রেতাদের) দেওয়ার সময় ওজনে কম দেয়। তারা কি এটা চিন্তা করেনা যে, তাদেরকে একদিন উঠানো হবে এক মহা দিবসে। সূরা আল মুতাফফিফীন ১।
যারা মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে কষ্ট দিয়েছে অতপর (এই কুকর্ম থেকে) তওবা করেনি নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে জাহান্নামের শাস্তী। সূরা বুরুজ ১।
প্রকৃত সফলকাম সেই ব্যক্তি যে পবিত্রতা অবলম্বন করেছে, আল্লাহর যিকির করেছে এবং নামাজ আদায় করেছে। সুরা আল-আলা ১৪,১৫।
তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রধান্য দিচ্ছ ? অথচ তোমাদের জন্য আখেরাতের জীবনই হল উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। সুরা আল-আলা ১৬,১৭।
নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রম নির্ভর করে সৃষ্টি করেছি। সূরা আল বালাদ ৪।
আমি মানুষকে দুটি সুষ্পষ্ট (হেদায়েতের) পথ দেখিয়েছি, কিন্তু মানুষ সে পথ অতিক্রম করতে পারেনি, তুমি কি জান সেই পথ কি ? তা হচ্ছে কোন দাস (অথবা নির্দোষ বন্দি) মুক্ত করা। দূর্ভিক্ষের সময় অসহায় মানুষকে অন্নদান, এতিম অসহায় আত্বীয় স্বজনকে অথবা ধুলি মলিন অসহায় মিসকিনকে খাদ্য দান। সূরা আল বালাদ ১০-১৬।
নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি সফল যে (মন্দ চিন্তা চেতণা থেকে) তার অন্তর পরিশুদ্ধ রেখেছে, পক্ষান্তরে (মন্দ চিন্তা চেতণা দ্ধারা) যে ব্যক্তি তার অন্তর কলুষিত করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে। সূরা আস সামস ৯,১০।
(অসহায়) এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না। (অভাবগ্রস্থ) ফকিরদেরকে তিরস্কার করো না। সূরা আদ দোহা ৯,১০।
নিশ্চয়ই (দুঃখ) কষ্টের সঙ্গে মানুসিক প্রশান্তি আছে। সূরা আল ইনশিরাহ ৬।
আমি কুরআন অবর্তিন করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন কদরের রাত কি ? কদরের রাত হাজার মাস হতেও উত্তম। ফেরেস্তা এবং রুহ এই (বরকতময়) রাতে আল্লাহর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতির্ন হয়। (বিশ্বব্যপী) এই রাতে শান্তি বিরাজ করে ফজর পর্যন্ত। সূরা আল কদর।
যারা ঈমান আনে সেই সঙ্গে নেক আমল করে একমাত্র তারাই সৃষ্টির সেরা। সূরা বাইয়্যিনাহ ৭।
(বিচারের দিন) কেহ অনু পরিমান সৎকর্ম করে থাকলেও দেখতে পাবে এবং কেহ অনু পরিমান অসৎকর্ম করে থাকলেও দেখতে পাবে। সূরা যিলযাল ৭,৮।
অতএব সেদিন যার (নেক আমলের) পাল্লা ভারি হবে সে নিরাপত্রার সঙ্গে শান্তিতে (জান্নাতে) বসবাস করবে এবং যারা (নেক আমলের পাল্লা) হালকা হবে তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। তুমি কি জান হাবিয়া কি ? প্রজ্জলিত (এক ভয়ংকর) অগ্নী। সূরা কারিয়া ৬-১১।
প্রাচুর্যের লালসা (অর্থাৎ দুনিয়াতে অধিক পাওয়ার আশা) তোমাদেরকে (আসলে) আল্লাহর স্বরণ থেকে উদাসিন রাখে। সূরা তাকাসুর ১।
অবশ্যই তোমাদেরকে সেদিন (দুনিয়ার) প্রত্যেকটি নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইবে। সূরা তাকাসুর ৮।
কসম যুগের। মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। কিন্তু তারা ব্যতিত যারা ঈমান আনে, নেক আমল করে, মানুষকে উপদেশ দেয় হকের এবং উপদেশ দেয় সবরের। ১-৩। সূরা আল আসর।
প্রত্যেক পশ্চাতে এবং সম্মুখে (মানুষের) পরনিন্দা কারীদের জন্য রয়েছে (চরম) দূর্ভোগ। সূরা হুমাযাহ ১।
(আল্লার নির্দেশিত পথে খরচ না করে) যে ব্যক্তি অর্থ সঞ্চয় করে এবং গুনতে থাকে। সে (কি তাহলে) মনে করে এই অর্থ তার কাছে চিরকাল থাকবে। কখনো না। সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। তুমি কি জান সেই পিষ্টকারী কি ? ইহা আল্লাহর প্রজ্জলিত (এক ভয়ংকর) আগুন। সূরা হুমাযাহ ২-৬।
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা (ধর্মের শত্রু) হস্তীবাহিনীর সঙ্গে কি আচরন করেছেন। তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেননি ? তিনি তাদের উপর প্রেরন করেছেন ঝাকে ঝাকে পাখি। যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল। অতপর তিনি তাদেরকে ভুসিতে পরিনত করেন। সূরা ফীল ১-৫।
সেই সমস্ত নামাজীদের জন্য ধ্বংশ, যারা (যথাযথভাবে) তাদের নামাজ (আদায়ের) ব্যপাড়ে উদাসিন। যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে এবং সাধারন ব্যবহার্য জিনিষ মানুষকে দিতে চায়না। সূরা আল মাউন ৪,৫।
তোমার পালনকর্তার উদ্দেশ্য নামাজ আদায় কর এবং (সামর্থ থাকলে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) কুরবানী কর। সূরা আল কাউসার ২।
যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে তখন তুমি দলে দলে (অমুসলিমদের) ইসলামে প্রবেশ করতে দেখবে। সূরা নসর ১,২।
বলুন তিনি আল্লাহ এক। আল্লাহ কাহারো মুখাপেক্ষি নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। (আকাশ পৃথিবীতে) তার সমকক্ষ কেহ নেই। সূরা এখলাস ১-৪।
বলুন। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রভাতের রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন এমন প্রত্যেকটি বস্তুর অনিষ্ট থেকে। অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে যখন সে উপস্থিত হয়। গিরায় ফুৎকারদানকারীর অনিষ্ট থেকে। এবং হিংসুকদের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। সূরা ফালাক ১-৫। (উল্লেখ্য যে, ইহা একটি শক্তিশালী দোয়া)
বলুন। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের পালনকর্তার। মানুষের অধিপতির। মানুষের মাবুদের। তার অনিষ্ট থেকে যে কুমন্ত্রনা দেয় এবং আত্বগোপন করে। যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে। জি্বনের মধ্যে থেকে এবং মানুষের মধ্যে থেকে। সূরা নাস ১-৬। (উল্লেখ্য যে, সূরা ফালাক এবং নাস একটি শক্তিশালী দোয়া)
ইহা আল্লাহর কিতাব, এই মধ্যে সন্দেহ নেই, এই কিতাব সেইসব মুত্তাকীদের হেদায়েতের পথ দেখায় যারা অদৃশ্য বিষয়বস্তুর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, নামাজ কায়েম করে, এবং তাদেরকে যে ধন সম্পদ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে ব্যয় করে (ধর্মিয় কল্যান এবং সমাজ কল্যান মুলক কাজে), আর যে কিতাব তোমার প্রতি নাযিল হয়েছে এবং পূর্বে যে সমস্ত কিতাব রাসুলদের উপর নাযিল হয়েছিল সেগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে, এ ধরনের লোকেরাই তাদের রবের পথে প্রতিষ্টিত এবং এরাই কল্যান লাভ করতে পারবে। পক্ষান্তরে যারা এই বিষয়গুলোকে মেনে নেয়নি তাদেরকে সতর্ক করো বা না করো তাদের পক্ষে সমান তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না, (ক্রমাগত কুফরী করার কারনে) আল্লাহ তাদের হৃদয়ে কানে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টির সম্মুখে রয়েছে পর্দা আর তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অত্যান্ত কঠিন শাস্তী। সুরা আল বাক্কারা ১ থেকে ৭। মোট আয়াত ৩৪৬ টি
3.কুরআনের গুরত্বপূর্ন আয়াত
পবিত্র কুরআনের অত্যান্ত গুরত্বপূর্ন ৩৪৬ টি আয়াত একজন মুসলিমের যাহা না জানলেই নয়!
হে মানব মন্ডলি।
তোমাদের রবের হুকুমগুলো মেনে চল, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদের সবার স্রষ্টা। এই পথেই তোমরা মুক্তি লাভের আশা করতে পারো। আল বাক্কারা ২১।
একে (পবিত্র কুরআনের উপদেশমালাকে) যারা গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানাবে এবং অবিশ্বাস করবে তারা হবে নরকের অধিবাসী, (স্রষ্টা প্রদত্ব জীবন বিধানকে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য) সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। আল বাক্কারা ৩৯।
(হে অবিশ্বাসীগন) আমি যে কিতাব পাঠিয়েছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন কর। তোমাদের নিকট পূর্বে যে কিতাব ছিল এটি তার সত্যতা সমর্থন করে, কাজেই তোমরা একে অস্বীকার করো না। সামান্য মুল্যে আমার আয়াত বিক্রয় করোনা, আমার গজব থেকে নিজেদের বাচাও, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সত্যেকে সন্দেহযুক্ত করোনা, জেনে বুঝে সত্যেকে গোপন করার চেষ্টা করো না। আল বাক্কারা ৪১/৪২।
নিঃসন্দেহে নামাজ বড়ই কঠিন কাজ, কিন্তু সেই সব অনুগত লোকদের জন্য কঠিন নয় যারা মনে করে সবশেষে তাদেরকে তাদের রবের নিকট ফিরে যেতে হবে। আল বাক্কারা ৪৬।
আর ভয় কর সেই দিনকে যেদিন কেউ কারো সামান্যতম উপকারে আসবে না, কারো পক্ষ থেকে কোন সুপারিশ গ্রহন করা হইবে না, এবং বিনিময় নিয়েও কাউকে ছেড়ে দেওয়া হইবে না। আল বাক্কারা ৪৮।
তোমাদের মুখ পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ফিরাবার মধ্যে পুণ্য নেই। বরং সৎকর্ম হচ্ছে তোমরা আল্লাহ, কেয়ামত দিবষ, ফেরেস্তাকুল, আল্লাহর অবতির্ণ কিতাব সমুহ, নবীদের উপর বিশ্বাস রাখবে এবং আল্লাহর প্রেমে উদ্ভদ্ধ হয়ে নিজেদের ধন সম্পদ তোমাদের আত্নীয় স্বজন, ইয়াতিম, মিসকীন, মুসাফির, সাহায্য প্রার্থী এবং ত্রুীতদাসদের মুক্ত করার জন্য সন্তুষ্টচিত্রে ব্যয় করবে। নামাজ কায়েম করবে এবং যাকাত প্রদান করবে। অংগীকার সমুহ পূর্ন করবে ও বিপদে অভাব অন্টনে এবং সত্য মিথ্যার সংগ্রামে ধৈর্য ধারন করবে, তারাই হল সত্য পথের পথিক এবং তারাই হল মুত্তাকী। আল বাক্কারা ১৭৭।
তোমাদের কারো মৃতু্যর সময় এসে পরলে এবং সে তার ধন সম্পত্তি ত্যাগ করে যেতে থাকলে পিতামাতা এবং আত্নীয় স্বজনদের জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী অসিয়ত করে যাওয়াকে তার জন্য ফরজ করা হয়েছে। আল বাক্কারা ১৮০।
হে ঈমানদারগন। তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববতিদের উপর। আশা করা যায় এর মাধ্যমে তোমরা সৎকর্মশীল হতে পারবে। আল বাক্কারা ১৮৩।
(জালেম) যখন নেতৃত্ব পায় তখন সে পৃথিবীতে তার সমস্ত শক্তি অশান্তি সৃষ্টি এবং শস্যক্ষেত আর মানবগোষ্টি ধ্বংস করার কাজে নিয়োজিত করে। অথচ আল্লাহ এগুলো মোটেও পছন্দ করেন না। আল বাক্কারা ২০৫।
স্ত্রীদের উপর পুরুষদের যেমন ন্যয়সংগত অধিকার আছে ঠিক তদ্রুপ পুরুষদের উপরও স্ত্রীদের ন্যয়সংগত অধিকার আছে। সুরা বাক্কারা ২২৮।
আল্লাহ যাকে চান হিকমত (অন্তরদৃষ্টি) দান করেন, আর যে ব্যক্তি হিকমত (অন্তরদৃষ্টি) লাভ করে সে মুলত বিরাট সম্পদ লাভ করেছে, এই কথা দ্ধারা একমাত্র তারাই শিক্ষা লাভ করে যারা বুদ্ধিমান। সুরা বাক্কারা ২৬৯।
বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে এমন সব দরিদ্র লোক সাহায্য লাভের অধিকারী যারা আল্লাহর কাজে এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যার ফলে তারা আর্থিক সচ্ছলতার জন্য সময় দিতে পারে না, আর তাদের দেখে মুর্খ লোকেরা সচ্ছল ভাবে, তাদের চেহারা দেখে তোমরা তাদের ভিতরের অবস্থা জানতে পারো, মানুষের নিকট সাহায্যের হাত পাতবে এমন লোক তারা নয়, তাদের জন্য তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে সেটা আল্লাহর অগোচরে থাকবে না। আল বাক্কারা ২৭৩।
হে ঈমানদারগন। আল্লাহকে ভয় কর এবং যার কাছে তোমাদের সুদ পাওনা আছে ছেড়ে দাও যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাক, আর যদি এমনটি না করে (সুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাক) তাহলে আল্লাহ এবং রাসুলের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যুদ্ধের ঘোষনা রইল। আল বাক্কারা ৭৮/৭৯।
হে নবী। লোকদের বলে দাও, যদি সত্যি সত্যি তোমরা আল্লাহকে ভালবেসে থাক তাহলে আমার অনুসরণ করো তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলো মার্জনা করবেন। তিনি ক্ষমাশীল এবং করুনাময়। সুরা ইমরান ৩১।
ইসলাম ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কোন পথে চলতে চায় তাহলে ইহা কখনো গ্রহন করা হইবে না বরং পরকালে সে হবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ। সুরা ইমরান ৮৫।
মানুষের মধ্যে যারা মক্কা পর্যন্ত পৌছার সামর্থ রাখে তারা যেন সেখানে গিয়ে হজ্জ সম্পন্ন করে, ইহা মানুষের উপর আল্লাহর অধিকার, আর যে ব্যক্তি উক্ত আদেশ মেনে নিতে চায়না তাদের স্বরণ রাখা উচিৎ আল্লাহ বিশ্ববাসীর মুক্ষাপেক্ষী নহেন। সুরা ইমরান ৯৭।
হে ঈমানদারগন। তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর। আর মুসলমান না হয়ে কোন অবস্থাতেই মৃতু্যবরণ করো না। সুরা ইমরান ১০২।
(হে মুসলিম জাতী) তোমরা সবাই মিলে একসঙ্গে আল্লাহর রশী আকড়ে ধরো, দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না। সুরা ইমরান ১০৩।
তোমাদের মধ্যে এমন কতিপয় লোক অবশ্যই থাকতে হবে যারা মানুষকে নেক কাজের দিকে আহবান করবে, মানুষকে সৎকর্মের আদেশ করবে এবং মন্দ কর্ম হইতে মানুষকে বিরত রাখবে। এই দায়িত্ব যারা পালন করবে তারা (পরজগতে)অবশ্যই সফলকাম হইবে। ১০৪
(হে মুসলিম জাতী) এরা (কাফেররা) তোমাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবে না, হয়ত তোমাদের কিছু কষ্ট প্রদান করতে পারবে, এরা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হলে পৃষ্ট পদর্শন করবে এবং তখন তারা কোন সাহায্যকারী পাবেনা। সুরা ইমরান ১১১।
তোমরা কল্যান লাভ করলে কাফেররা কষ্ট পায় এবং তোমাদের উপর কোন বিপদ আসলে তারা আনন্দিত হয়, এমতাবস্তায় যদি তোমরা ধৈর্য ধারন কর এবং আল্লাহকে ভয় কর তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের কোন কৌশল কার্যকর হবেনা, আল্লাহ কাফেরদের চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে আছেন। সুরা ইমরান ১২০।
যারা অভাব এবং সচ্ছল উভয় অবস্থায় আল্লাহর পথে ধন সম্পদ ব্যয় করে, যারা নিজেদের ক্রোধ নিয়ন্ত্রন করে,অন্যের দোষত্রুটি ক্ষমা করে, এই সমস্ত লোকদের আল্লাহ অত্যান্ত ভালবাসেন। সুরা ইমরান ১৩৪।
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না বরং তারা জিবিত, তারা প্রতিনিয়ত আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবিকা লাভ করছে। সুরা ইমরান ১৬৯।
আর দুনিয়া তোমাদের জন্য একটি প্রতারনার বস্তু ব্যতিত আর কিছুই নয়। সুরা ইমরান ১৮৫।
সন্তুষ্টচিত্রে (স্রষ্টার হুকুম মনে করে) নিজের স্ত্রীর মোহরানা দিয়ে দাও। তবে যদি তারা সেচ্ছায় কিছু অংশ ক্ষমা করে দেয় তাহলে তোমরা তাহা ভোগ করতে পার। সুরা নেসা ৪।
জীবন ধারনের জন্য তোমাদের যে সম্পদ দান করা হয়েছে সেগুলো নির্বোধ (সন্তানদের) হাতে তুলে দিওনা, তবে তাদের ভরণপোষন দাও সেই সঙ্গে সদুপদেশ দিতে থাক। সুরা নেসা ৫।
পিতা মাতা ও আত্নীয় স্বজন যে সম্পদ রেখে যায় তাতে পুরুষদের অংশ আছে এবং মেয়েদেরও অংশ আছে তা সামান্য হউক বা বেশি, ইহা (আল্লাহর পক্ষ থেকে) নিধর্ারিত। সুরা নেসা ৭।
তোমাদের ধন সম্পদ যখন বন্টন কর (এই খবর শুনে) তখন যদি তোমাদের অসহায় আত্নীয় স্বজন ইয়াতিম মিসকিনরা (কিছু পাওয়ার আশায় তোমাদের কাছে) আসে তখন তোমরা তাদেরকে কিছু অংশ দিয়ে দাও এবং তাদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরন কর। সুরা নেসা ৮।
তোমরা পৃথিবীতে একটু ভ্রমন করে দেখ যারা সত্যকে অস্বীকার করেছিল তাদের পরিনাম কি হয়েছিল। সুরা অনআম ১১।
আল্লাহ যদি তোমার কোন ক্ষতিসাধন করতে চান তাহলে এমন কেউ নেই তোমাকে সেই ক্ষতি থেকে বাচিয়ে দিতে পারে। আর তিনি যদি তিনি তোমার মঙ্গল চান তাহলে তিনি সকল বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান। সুরা অনআম ১৭/১৮।
তিনিই তোমাদের রাত্রে মৃতু্য ঘটান এবং দিবষে তোমরা যাহা কিছু কর তিনি জানেন, পুনরায় কর্মজগতে তোমাদের জীবন ফেরত দেন যাতে তোমাদের জীবনের নির্ধারিত সময় পূর্ন হয়, অবশেষে তারই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে তখন তিনি জানিয়ে দিবেন তোমরা দুনিয়াতে কি কাজ করে এসেছ। সুরা অনআম ৬০।
যারা পরকাল বিশ্বাস করে তারা এই কিতাবের উপর বিশ্বাস রাখে এবং তাদের নামাজসমুহ (আদায় করার মাধ্যমে) যথাযথভাবে হেফাজত করে। সুরা অনআম ৯২।
তোমরা প্রকাশ্য গোনাহ থেকে বেচে থাক এবং গোপন গোনাহ সমুহ থেকেও বেচে থাক, কারন গোনাহে যারা লিপ্ত থাকে তাদেরকে এর প্রতিফল (পরজগতে) ভোগ করতে হবে। সুরা অনআম ১২০।
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ যাকে হেদায়েতের পথে প্রতিষ্টিত করতে চান তার বক্ষ ইসলামের (পথ আনুসরনের) জন্য প্রশস্ত করে দেন এবং যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান তার অন্তর ইসলামের জন্য সংকির্ণ করে দেন। সুরা অনআম ১২৫।
প্রত্যেক মানুষের মর্যাদা তার কর্মনীতি অনুযায়ী হয় আর তোমাদের রব মানুষের কর্মনীতির ব্যপাড়ে বেখবর নন। সুরা অনআম ১৩২।
পিতা মাতার সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ কর, দারিদ্যের ভয়ে (জন্ম নিয়ন্ত্রন বা অন্য কোন উপায়ে) সন্তানদের হত্যা করোনা, আমি যেহেতু তোমাদের জীবিকা দিচ্ছি সুতরাং তোমাদের সন্তানদেরকেও দিব, আর প্রকাশ্যে ও গোপনে অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেওনা। সুরা অনআম ১৫১।
সেদিন যাদের নেকের পাল্লা ভারী হবে তারা হবে সফলকাম এবং যাদের নেকের পাল্লা হালকা হবে তারাই হবে নিজেদের ধ্বংশকারী, এর কারন তারা (দুনিয়াতে) আমার আয়াত সমুহ (অনুসরণ না করে) সেগুলোর উপর জুলুম করেছিল। সুরা আরাফ ৯।
আমি যখন কোন জনপদে নবী পাঠিয়েছি তখন সেই জনপদ বাসীকে কখনো অভাব অন্টন আবার কখনো দুঃখ কষ্টের সম্মুখিন করেছি ইহা ভেবে হয়ত তারা নবীর অনুগত্যে করবে। সুরা আরাফ ৯৪।
প্রকৃতপক্ষে যারা পরহেজগার শয়তানের পরোচনায় যখন কোন পাপ চিন্তা তাদের মনোজগতে উদয় হয় তখনই তাদের নৈতিক চেতনা জাগ্রত হয়ে যায়। সুরা আরাফ ২০১।
যখন তোমাদের সামনে কুরআন পড়া হয় তখন মনযোগ সহকারে শ্রবণ কর হয়ত এর ফলে তোমাদের উপর রহমত বর্ষণ করা হবে। সুরা আরাফ ২০৪।
পরিপূর্ন ঈমানদারত তারাই যাদের সামনে আমার স্বরনে (কুরআনের আয়াত পাঠ) করা হলে তাদের হৃদয়টা কেপে উঠে। সুরা অনফাল ২।
হে ঈমানদারগন। যখন কোন শত্রুদলের সাথে তোমাদের মোকাবেলা হয় তখন দৃয়তা দেখাও এবং আল্লাহকে খুব বেশি করে স্বরণ করতে থাক আশা করা যায় তোমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনিত হবে। সুরা অনফাল ৪৫।
(হে মুসলিম সমপ্রদায়) তোমরা একমাত্র আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্যে কর এবং নিজেরা (বৈষয়িক স্বার্থে) বিবাদে জড়িয়ে যেওনা তাহলে পৃথিবী থেকে তোমাদের প্রভাব ও শক্তি শেষ হয়ে যাবে। সুরা অনফাল ৪৬।
(ইসলামের শত্রুরা) চায় মুখের ফু দিয়ে দুনিয়া থেকে ইসলামের আলো নিভিয়ে দিতে। অথচ আল্লাহ ইসলামের আলোকে অবশ্যই পূর্ন বিকশিত করবেন এতে তারা যতই অসন্তুষ্ট হউক না কেন।
অন্তর মন্দ কাজের দিকে মানুষকে ধাবিত করে তবে যার উপর আল্লাহর করুনা থাকে সে ব্যতিত। আমার রব বড়ই ক্ষমাশীল ও করুনাময়। সুরা ইউসুফ ৫৩।
আল্লাহ কোন জাতীর ভাগ্য সুপ্রসন্ন করেন না যতক্ষন পর্যন্ত না তারা নিজেদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন করে। আর আল্লাহ যখন কোন জাতীকে মুসিবতে ফেলতে চান তখন তা রদ করার কেউ থাকেনা, এই জাতীর জন্য তখন কোন সাহায্যকারী থাকেনা। সুরা আর রাদ ১১।
বস্তুত আল্লাহর যিকির হচ্ছে এমন এক বস্তু যার মাধ্যমে মানুষের আত্বাগুলো প্রশান্তি লাভ করে থাকে। সুরা আর রাদ ২৮।
(আল্লাহর কুদরতে) এই মাছির পেট থেকে এক ধরনের বিচিত্র রঙ্গের শরবত (মধু) বের হয় যার মধ্যে রয়েছে নিরাময়। অবশ্যই এর মধ্যে এমন এক নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তাশীল। সুরা নাহল ৬৯।
তবে যারা অজ্ঞতার ফলে মন্দ কাজ করে ফেলেছে অতপর আল্লাহর নিকট তওবা করে নিজেদের কর্মধারা সংশোধন করে নিয়েছে অবশ্যই তোমার রব তওবার পর এই সমস্ত লোকদের ক্ষেত্রে ক্ষমাশীল এবং করুনাময়। সুরা নাহল ১১৯।
আমি প্রত্যেকটি মানুষের (ভাল এবং মন্দ) কর্মনীতি তাদের গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি। বিচারের দিন এই কিতাব বের করা হবে তখন প্রত্যেকেই তা খোলা অবস্থায় দেখতে পাবে। সুরা বনী ইসরাঈল ১৩।
যখন আমি কোন জনপদ ধ্বংশ করার সিদ্ধান্ত নেই তখন সেই জনপদের বিত্তশালী লোকদের (অদৃশ্য ইংগিত দেই) ফলে তারা পাপাচারের দিকে ধাবিত হয় তখন সেই জনপদের জন্য আযাবের ফায়সালা হয়ে যায় অতপর (প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে) সেই জনপদ ধ্বংশ করে দেই। সুরা বনী ইসরাঈল ১৬।
কোমলতা এবং দয়ার সাথে তোমরা তোমাদের পিতা মাতার প্রতি বিনয়ী থেক আর আমার নিকট তাদের জন্য দোয়া কর এভাবে (হে প্রভু) তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে তারা আমাদের দয়া ও স্নেহ দিয়ে শৈশব কালে আমাদের লালন পালন করেছেন। সুরা বনী ইসরাঈল ২৪।
তোমরা অবৈধ যৌনাচারের ধারে কাছেও যেওনা নিশ্চয়ই এটা অত্যান্ত মন্দ এবং জঘন্য পথ। সুরা বনী ইসরাঈল ৩২।
আর রজনীতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় কর, ইহা তোমার জন্য নফল, (এই নামাজের বরকতে) অচিরেই (পুরস্কার সরূপ) তোমাকে আল্লাহ উচ্চতম প্রশংসিত স্থানে অধিষ্টিত করবেন। সুরা বনী ইসরাঈল ৭৯।
তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে যাকে তার রবের কিতাবের মাধ্যমে উপদেশ প্রদান করার পরও সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং ভুলে যায় সে মন্দ পরিনতির কথা যা তার দুই হাত কামাই করে রেখেছে। সুরা কাহাফ ৫৭।
(পূর্বের ঈমানদার লোকদের অবস্থা ছিল এই) যখন তাদের সামনে করুনাময় প্রভুর আয়াত শুনানো হত তখন তারা (খোদার ভয়ে) কান্নারত অবস্থায় সিজদায় (মাটিতে) লুটিয়ে পড়ত। পরবর্তিতে এমন সব নির্বোধ লোক স্থলাভিষিক্ত হয় যারা নিজেদের নামাজ (বর্জন করে) ধ্বংশ করল এবং হয়ে গেল প্রবৃত্তির দাস, অতি শিঘ্রই তারা (এই জঘন্য কর্মের জন্য ভয়ংকর) পরিনতির সম্মুখিন হবে। সুরা মারইয়াম ৫৮ এর শেষাংশ এবং ৫৯।
যে ব্যক্তি আমার উপদেশবানী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার জন্য হবে দুনিয়াতে সংকির্ন জীবন এবং বিচার দিবসে আমি তাকে অন্ধ করে উঠাব। সুরা ত্বাহা ১২৪।
মানুষের জবাবদীহিতার সময়টি অত্যান্ত নিকটবর্তী অথচ তারা গাফেল হয়ে (আল্লাহর আনুগত্যে থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সূরা আম্বিয়া ১।
আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি ফলে সত্য মিথ্যাকে চূর্ণ বিচুর্ণ করে দেয় অতপর মিথ্যা ধংশ হয়ে যায়। সূরা আম্বিয়া ১৮।
তিনি সৃজন করেছেন রাত্রি ও দিন এবং চন্দ্র সূর্য (মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্র) প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করে। সূরা আম্বিয়া ৩৩।
যারা চায় মুসলিম সমাজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক তাদের জন্য পরকালে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। সূরা আন নুর ১৯।
চরিত্রহীন মহিলারা চরিত্রহীন পুরুষদের জন্য এবং চরিত্রহীন পুরুষগন চরিত্রহীন মহিলাদের জন্য উপযুক্ত। চরিত্রবান মহিলারা চরিত্রবান পুরুষদের জন্য এবং চরিত্রবান পুরুষগন চরিত্রবান মহিলাদের জন্য উপযুক্ত। সূরা আন নুর ২৬।
হে ঈমানদারগন। নিজেদের গৃহ ব্যতিত অন্যের গৃহে প্রবেশ করোনা যতক্ষন তা তারা অনুমতি না দেয়, আর তোমরা তাদেরকে প্রথমে সালাম করবে, ইহাই তোমাদের জন্য কল্যানকর, আশা করি বিষয়টির দিকে তোমরা খেয়াল রাখবে। সূরা আন নুর ২৭।
যারা ব্যবসা বানিজ্য, ক্রয় বিক্রয় (এবং শত) ব্যস্ততার মধ্যেও আল্লাহর স্বরণ নামাজ কায়েম এবং যাকাত আদায়ে গাফেল হয়না তারা সেদিনকে ভয় করে যেদিন মানুষের অন্তর বিপর্যস্ত এবং দৃষ্টি পাথর হয়ে যাবে। সূরা আন নুর ৩৭।
আর সফলকাম হবে শুধুমাত্র তারাই যারা আল্লাহ ও রাসুলের আদেশগুলো মেনে চলে, আর আল্লাহকে ভয় করে এবং আল্লাহর নাফরমানী (গোনাহের কাজ) থেকে দূরে থাকে। সূরা আন নুর ৫২।
আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তোমাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান আনবে এবং নেক আমল করবে তাদেরকে তিনি ঠিক তেমনিভাবে ইসলামী খেলাফত দান করবেন যেমনিভাবে পূর্বে গত হয়ে যাওয়া উম্মতকে তিনি খেলাফত দান করেছিলেন। সূরা আন নুর ৫৫।
যারা রাসুলের আদেশ অমান্য করে তাদের এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ যে, এজন্য তাদের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি এসে তাদেরকে গ্রাস করবে। সূরা আন নুর ৬৩।
রহমানের প্রকৃত বান্দা তারাই যারা পৃথিবীর বুকে নম্্র (ও বিনয়ের) সঙ্গে চলাফেরা করে এবং নির্বোধ লোকেরা তাদের সঙ্গে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাইলে তাদেরকে বলে দেয় তোমাদের প্রতি সালাম। তারা নিজেদের রবের সামনে সেজদারত থাকে এবং (প্রভুর সামনে) দাড়িয়ে থেকে রাত অতিবাহিত করে। সূরা ফুরকান ৬৩/৬৪।
(যারা আল্লাহকে ভুলে আছে এমন) নিকট আত্নীয় স্বজনদের আল্লাহর ভয় দেখাও। আশ-শুয়ারা ২১৪।
কেউ যদি কোন ভুলক্রটি করে ফেলে অতপর যদি তার গোনাহকে সে (তওবা এবং) নেক আমল দ্ধারা পরিবর্তিত করে নেয় তাহলে আমি (আল্লাহ) তার প্রতি ক্ষমাশীল ও করুনাময়। সুরা আন নামল ১১।
তোমরা অহংকার করোনা কারন অহংকারীদের আল্লাহ মুটেও পছন্দ করোনা। আল কাসাস ৭৬।
তোমরা পৃথিবীতে কলহ সৃষ্টি করো না কারন কলহ সৃষ্টিকারীদের আল্লাহ মুটেও পচ্ছন্দ করেন না। আল কাসাস ৭৭।
মানুষ কি ভেবে নিয়েছে আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আর তাদেরকে পরিক্ষা করা হবে না। অথচ পূর্ববতীদের আমি (বিভিন্নভাবে) পরিক্ষা নিয়েছি। আল্লাহ অবশ্যই দেখবেন (ঈমানের দাবীতে) তোমাদের মধ্যে কে সত্যবাদী এবং কে মিথ্যাবাদী। আল আনকাবূত ২/৩।
আল্লাহর নিকট রিজিক চাও, তারই এবাদত করো, এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো কারন তারই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে। আল আনকাবূত ১৭।
ফেরেস্তাগন লূতকে বলল আমরা আকাশ থেকে দেশবাসীর উপর (ভয়ংকর) শাস্তী অবর্তিণ করতে যাচ্ছি তারা (সমকামের মাধ্যমে) যে পাপকর্ম করে যাচ্ছে তার কারনে। আল আনকাবূত ২/৩।
নিশ্চিতভাবেই নামাজ মানুষকে অশ্লীল এবং মন্দ কর্ম হইতে বিরত রাখে। আল্লাহর স্বরণ অতি মহান। আল্লাহ জানেন তোমরা যাহা কর। আল আনকাবূত ৪৫
দুনিয়ার জীবন ক্রিয়া কৌতুক ব্যতিত আর কিছুই নয়, পরকালের আবাসই হল অতি উত্তম। হায় ! (দুনিয়ার আত্বভোলা) মানুষগুলো যদি ইহা জানত। আল আনকাবূত ৬৪/৬৫।
মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে স্থলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে ফলে মানব (সমপ্রদায়কে দুনিয়াতেই) আল্লাহ কিছু শাস্তী দিয়ে থাকেন যেন তারা (অসৎকর্ম) থেকে ফিরে আসে। আর-রুম ৪১।
আর আমি মানুষকে তার পিতার মাতা সঙ্গে সম্মানজনক আচরন করার জোর নির্দেশ দিয়েছি, মাতা সন্তানকে অত্যান্ত কষ্টের সঙ্গে গর্ভেধারন করে। সুরা লুকমান ১৪।
একটি নিদ্রিষ্ট সময় পর্যন্ত আমি অবাধ্য লোকদের দুনিয়া ভোগ করার সুযোগ দিয়ে থাকি, তারপর তাদেরকে (অনন্তকালের জন্য) পৌছে দেই এক কঠিন শাস্তির দিকে। সুরা লুকমান ২৪।
নিশ্চয় (শেষনবীর জীবন দর্শনে) মহত্তম আদর্শ রয়েছে এমন এক সমপ্রদায়ের জন্য যারা আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে সেই সঙ্গে (চলতে ফিরতে) আল্লাহকে অধিক পরিমান স্বরণ করে। সূরা আল আহযাব ২১।
নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ, মুসলিম নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ, ধৈর্যশীল নারী, বিনয়ী পুরুষ, বিনয়ী নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ, রোজা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী পুরুষ, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্বরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্বরণকারী নারী-তাদের প্রত্যেকের জন্যই আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার। সূরা আল আহযাব ৩৫।
(মুসলমানদেরকে) যখন আল্লাহ এবং রাসুল কোন কাজ সম্পাদন করার হুকুম দেন তখন কোন মুসলিম পুরুষ কিংবা মুসলিম নারীর সেই বিষয়ে এমন কোন এখতিয়ার নেই যে, আল্লাহ এবং রাসুলের আদেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। সূরা আল আহযাব ৩৬।
আল্লাহ এবং তার ফেরেস্তারা নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগন। তোমরাও তার প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও। সূরা আল আহযাব ৫৬।
আর যারা মুসলমান পুরুষ ও নারীদের কোন অপরাধ ছাড়াই কষ্ট দেয় তারা আসলে একটি মিথ্যা অপবাদ এবং (জঘন্য) পাপের বোঝা বহন করে বেড়ায়। সূরা আল আহযাব ৫৮।
হে নবী। আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মুমিন নারীদের বলে দিন তারা যেন (ঘর থেকে বের হওয়ার সময়) চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। সূরা আল আহযাব ৫৯।
(হে মোহাম্মদ) লোকেরা তোমাকে প্রশ্ন করে (কুরআনের প্রতিশ্রুত) কিয়ামত কোন সময় আসবে ? বলুন এর সঠিক সময় একমাত্র আল্লাহ জানেন। হয়ত নিকটেই এসে গেছে। সূরা আল আহযাব ৬৩।
যেদিন (পাপীদের) চেহারা আগুনে উলট পালট করা হবে তখন তারা বলবে হায় ! (দুনিয়াতে থাকাকালে) যদি আল্লাহ এবং তার প্রেরিত রাসুলের হুকুমগুলো মেনে চলতাম। তারা আরও বলবে, হে আমাদের রব, আমরা দুনিয়াতে (পথভ্রষ্ট) নেতা এবং (পথভ্রষ্ট) মুরবি্বদের কথা মেনে চলতাম, (এই সুযোগে) তারা আমাদের অসৎপথে চালিত করত। হে আমাদের রব। তাদেরকে দ্বিগুন শাস্তী প্রদান করুন এবং আপনার গজব দ্ধারা তাদের পরিবেষ্টন করুন। সূরা আল আহযাব ৬৬,৬৭,৬৮।
হে ঈমানদারগন। আল্লাহকে ভয় কর এবং (কোন) কথা বলার সময় (ভেবেচিন্তে) সঠিক কথা বল। সূরা আল আহযাব ৭০।
যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং রাসুলের আনুগত্যে করবে (ইহজগত ও পরজগতে) সে বিরাট সফলতা অর্জন করবে। সূরা আল আহযাব ৭১।
যারা আমার আয়াত (ইসলামের) ক্ষতিসাধন করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তী। সূরা আস-সাবা ৫।
আর (হে রাসুল) আমি তো আপনাকে (বর্তমান এবং অনাগত) সমগ্র মানবজাতীর জন্য সুসংবাদদাতা এবং তীতি প্রদর্শনকারী করে পাঠিয়েছি কিন্তু (দুনিয়ার) অধিকাংশ লোক সেই খবর রাখেনা। সূরা আস-সাবা ২৮।
কখনো এমনটি হয়নি যে, যখন আমি কোন জনপদে রাসুল পাঠিয়েছি তখন সেই জনপদের প্রভাবশালী লোকেরা এই কথা বলেনি যে, তোমরা যে হেদায়েত নিয়ে এসেছে আমরা তা মানিনা। সূরা আস-সাবা ৩৪।
হে নবী। তাদেরকে বল। আমার বান্দাদের মধ্যে থেকে তিনি কারো রিযিক প্রশস্ত করেন আবার কারো রিযিক সংকির্ণ করেন। (তবে মানুসিক সংকির্ণতা পরিহার করে) যা কিছু তোমরা স্রষ্টার পথে ব্যয় কর আল্লাহ এর বিনিময়ে তোমাদের রিযিক অধিক বাড়িয়ে দেন ! তিনি অন্য সব রিযিকদাতার চেয়ে উত্তম রিযিকদাতা। সূরা আস-সাবা ৩৯।
আল্লাহ যদি (কোন) মানুষের জন্য কল্যানের দরজা খুলে দেন তাহলে তা বন্ধ করার কেহ নেই, আর আল্লাহ যদি (কোন) মানুষের জন্য কল্যানের দরজা বন্ধ করে দেন তাহলে তা খুলে দেওয়ার কেহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। সূরা ফাতির ২।
হে মানবজাতী। (প্রতিদান দিবসের ব্যপাড়ে) আল্লাহর ওয়াদা নিশ্চিতভাবেই সত্য, সুতরাং দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদের প্রতারিত না করে এবং (অভিশপ্ত) শয়তানও যেন আল্লাহর ব্যপাড়ে তোমাদের ধোকায় না ফেলে। সূরা ফাতির ৫।
আল্লাহ যখন কোন কিছু করার ইচ্ছা করেন তখন তিনি শুধু বলেন হও আর সঙ্গে সঙ্গে সেই কাজটি সম্পূর্ন হয়ে যায়। সূরা ইয়াসিন ৮২।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ তারাই হবে যারা নিজের পরিবার পরিজনকে (ঈমানের পথে পরিচালনা না করে) তাদের ক্ষতিসাধন করেছে। মনে রেখ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি। সূরা আয-যুমার ১৫।
আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন তাকে কেহ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। সূরা আয-যুমার ৩৭।
যে হেদায়েতের পথে আসে সে তার নিজের কল্যানের জন্যই আসে আর যে পথভ্রষ্ট হয় এর মন্দ পরিনতি তাকেই ভোগ করতে হবে। সূরা আয-যুমার ৪১।
(হে নবী) বল। যারা গোনাহের কাজ করে নিজেদের আত্বার উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, (অনুতপ্ত হয়ে পূনরায় সে নিষিদ্ধ কাজ না করার ওয়াদা করলে নিশ্চিতভাবেই) আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। সূরা আয-যুমার ৫৩।
(প্রশান্তচিত্তে) ফিরে এসো তোমার রবের পথে এবং তার হুকুম সমুহ মেনে চল শাস্তী নির্ধারন হওয়ার পূর্বেই অন্যথায় পরে কিন্তু (হৃদয় বিদারক চিৎকারেও) আর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। সূরা আয-যুমার ৫৪।
সেদিন পৃথিবী রবের নুরে আলোকিত হয়ে যাবে, মানুষের আমলনামা উপস্থিত করা হবে, নবী রাসুল এবং সমস্ত স্বাক্ষীদেরও উপস্থিত করা হবে, সেদিন সকলের মধ্যে ন্যয় বিচার করা হবে, কাহারো প্রতি সামান্যতম যুলুম করা হবে না। সূরা আয-যুমার ৬৯।
(হে মুমিনগন) আল্লাহ কিন্তু তোমাদের চোখের লুকোচূরি ও মনের গোপন কথা সবই জানেন। সূরা আল মুমিন ১৯।
হে মানব সমপ্রদায়। আমি তোমাদের জন্য এমন একটি কঠিন দিনের আশংকা করছি, যেদিন তোমরা পিছনের দিকে দৌরে পালাতে থাকবে কিন্তু (সেই ভয়ংকর মুহুর্তে) সেদিন তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না। আর আল্লাহ যাকে (তার মন্দ কর্মের জন্য) পথভ্রষ্ট করে দেন তার জন্য দুনিয়াতে কোন পথপ্রদর্শক নেই। সূরা আল মুমিন ৩৩।
(নিশ্চিতভাবেই) আমি সাহায্য করব দুনিয়ার জীবনে রাসুলদেরকে এবং (তার অনুসারী) মুসলমানদেরকে। এবং সেদিনও সাহায্য করব যেদিন স্বাক্ষ্য দাতাগন উপস্থিত হবে। সূরা আল মুমিন ৫১।
মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে মহাকাশ ও পৃথিবী নির্মান করা অনেক কঠিন কাজ কিন্তু (দুনিয়ার) অধিকাংশ মানুষ সেই বিষয়টি উপলদ্ধি করে না। সূরা আল মুমিন ৫৭।
আর (সেইসব) মুশরিকদের রয়েছে দূর্ভোগ, যারা যাকাত আদায় করে না, (আসলে) তারা পরকালকেই অস্বীকার করে। সূরা হামীম সেজদাহ ৬/৭।
আল্লাহর দ্বীনের দিকে যে মানুষকে আহবান করে এবং নিজে নেক আমল করে আর বলে আমি মুসলমানদের মধ্যে থেকে একজন। তার চেয়ে উত্তম কথা আর কি হতে পারে। সূরা হামীম সেজদাহ ৩৩।
ভাল মন্দ কখনো সমান নয়, (নির্বোধ লোকদের অপ্রিতিকর প্রশ্নের জবাবে) সেই কথাই বল যাহা অতি উৎকৃষ্ট (ও বিচক্ষনতাপূর্ন) তাহলে দেখবে যে লোকটি তোমার শত্রু ছিল সে হয়ে গেছে তোমার বন্ধু ! একমাত্র ধৈর্যশীল ব্যক্তি ছাড়া এই গুনাবলী কেহ অর্জন করতে পারে না এবং এরাই হচ্ছে ভাগ্যবান। সূরা হামীম সেজদাহ ৩৪/৩৫।
যদি কখনো অনূভুত হয় শয়তান তোমাদের মনের মধ্যে কোন মন্দ কর্মের প্রেরনা দিচ্ছে (তখন দেরি না করে) আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। সূরা হামীম সেজদাহ ৩৬।
নিশ্চয় কুরআন আসার পর যারা তা অমান্য করে তাদের মধ্যে সুস্থ চিন্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ইহা অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ। সূরা হামীম সেজদাহ ৪১।
এই কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়াত এমনকি রোগ মুক্তি, কিন্তু যারা বিশ্বাসী নয় এই কুরআন তাদের অবাধ্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এদের অবস্থা হল এমন যেন বহু দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে। সূরা হামীম সেজদাহ ৪৪।
আমি দুনিয়াব্যপী (বিভিন্নভাবে) আমার নিদর্শন দেখাব এবং দেখাব অবিশ্বাসীদের মধ্যেও যাতে করে এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কুরআন সত্য। সূরা হামীম সেজদাহ ৫৩।
তোমরা জেনে রেখ (অবিশ্বাসীরা) পালনকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যপাড়ে সন্দেহে পতিত রয়েছে, শুনে রাখ যে, আল্লাহ সবকিছুকে ঘেরাও করে আছেন। সূরা হামীম সেজদাহ ৫৪।
(মানুষের কুকর্মের ফলে) আকাশ (দুনিয়াবাসীর উপর) ফেটে পড়ার উপক্রম হয় ! (ভয়ংকর এই দৃশ্য দেখে) তখন ফেরেস্তাগন তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং দুনিয়াবাসীর জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ! জেনে রাখ, আল্লাহ মানুষের উপর ক্ষমাশীল ও করুণাময়। আশ-শূরা ৫।
মানুষের নিকট জ্ঞান আসার পরই নিজেরা বিভেদে জড়িয়ে মতভেদে লিপ্ত হয়েছে। আশ-শূরা ১৪।
(বস্তুত) পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদের পর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তারাই সবচেয়ে বেশি সন্দেহে পতিত রয়েছে। আশ-শূরা ১৪।
যে ব্যক্তি পরকালের সম্পদ কামনা করে আমি তার জন্য সেই সম্পদ বাড়িয়ে দেই, আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার সম্পদ কামনা করে আমি তার কিছু অংশ দিয়ে দেই কিন্তু পরকালে এদের জন্য কোন অংশ থাকবে না। আশ-শূরা ২০।
তোমাদের উপর যে সমস্ত বিপদ আপদ এসে উপস্থিত হয় তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল, আর আল্লাহ তোমাদের বহু গোনাহ (এমনিতেই) ক্ষমা করে দেন। আশ-শূরা ৩০।
যে ধৈর্য ধারণ করে এবং (মানুষ কোন অন্যায় আচরণ করলে) তাদেরকে ক্ষমা করে দেয় নিশ্চয়ই ইহা একটি উত্তম কাজ। আশ-শূরা ৪৩।
বিচারের দিন তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে যারা (আল্লাহর আদেশ অমান্য করে) নিজেদের এবং পরিবার পরিজনকে (ঈমানের পথে পরিচালনা না করে) ক্ষতিসাধন করেছে। আশ-শূরা ৪৫।
পূর্বে আমি যেখানেই সতর্ককারী পাঠিয়েছি তখন সেই জনপদের ধনী লোকেরা বলত আমরা আমাদের বাপ দাদাদের যে পথে চলতে দেখেছি আমরা তার অনুসরণ করছি মাত্র। সূরা যুখরুফ ২৩।
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্বরণ থেকে গাফেল বা উদাসিন থাকে আমি তার ঘারের উপর একটি শয়তান চাপিয়ে দেই অতপর সে হয় তার সঙ্গি। সূরা যুখরুফ ৩৬।
শয়তান মানুষকে (কুমন্ত্রনার মাধ্যমে) আল্লাহর পথে চলতে বাধা দান করে অথচ মানুষ মনে করে সে সঠিক পথেই চলছে। সূরা যুখরুফ ৩৭।
(বিচারের) সেই (ভয়ংকর) দিনে একমাত্র পরহেজগার ব্যতিত (অন্যরা যারা দুনিয়াতে বন্ধু বানিয়েছিল) প্রত্যেকেই তখন একে অপরের শত্রু হয়ে যাবে ! সূরা যুখরুফ ৬৭।
তোমাদের মধ্যে এবং পৃথিবীতে যে সমস্ত জীব জন্তু রয়েছে তাদের মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন এক সমপ্রদায়ের জন্য যারা ঈমান আনে। সূরা আল জাসিয়াহ ৪।
(হে নবী) যারা ঈমান এনেছে তাদের বলে দিন, আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি কঠিন দিন আসার আশংকা যা দের নেই সেই সমস্ত মুর্খ লোকদের বিদ্রোহাত্বক আচরন যেন তারা ক্ষমা করে দেয় যাতে তিনি একটি দলকে তাদের কৃতকর্মের বদলা দিয়ে দেন। সূরা আল জাসিয়াহ ১৪।
এই কুরআন মানুষের জন্য অন্তরদৃষ্টির আলো এবং ঈমানদারদের জন্য সুষ্পষ্ট হেদায়েত ও রহমত। সূরা আল জাসিয়াহ ২০।
যে সমস্ত লোক গোনাহের কাজে লিপ্ত রয়েছে তারা কি মনে করে নিয়েছে যে, তাদের মর্যাদা পরহেজগারদের মত ? তারা কি এও মনে করে নিয়েছে যে, পরহেজগারদের পবিত্র জীবন মৃতু্যর মত তাদের জীবন মৃতু্য সমান ? আসলে (জীবন দর্শন সম্পর্কে) তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত অত্যান্ত জঘন্য। সূরা আল জাসিয়াহ ২১।
তুমি কি সেই ব্যক্তির কথা ভেবে দেখেছ যে তার অন্তরের কামনা বাসনাকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে আর জ্ঞান অর্জন করা সত্বেও আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট রেখেছেন ! তার অন্তরে কানে কুফরীর সীল মেরে দিয়েছেন এবং চোখের উপর পর্দা টেনে দিয়েছেন। আল্লাহ ছাড়া এমন কে আছে যে এমন (হতভাগ্য) লোকদের হেদায়েতের সন্ধান দিতে পারে। (শিক্ষিত লোকদের উপর পতিত এই গযব দেখেও কি) তোমরা শিক্ষা গ্রহন কর না। সূরা আল জাসিয়াহ ২৩।
আমি তোমাদের আশেপাশের বহু জনপদ ধ্বংশ করে দিয়েছি, আমি (রাসুলদের মাধ্যমে) আমার আয়াত সমুহ পাঠিয়ে মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়েছি যেন তারা পাপকর্ম থেকে বিরত হয়। সূরা আল আহক্কাফ ২৭।
যারা (ইসলামের সত্যতাকে) অস্বীকার করেছে এবং আল্লাহর পথে চলতে মানুষকে (বিভিন্নভাবে) বাধা প্রদান করেছে আল্লাহ তাদের সকল কর্মপ্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। সূরা মুহাম্মাদ ১।
যারা আল্লাহর পথে নিহত হবে আল্লাহ কখনো তাদের নেক আমল সমুহ ধ্বংশ করবেন না। সূরা মুহাম্মাদ ৪।
হে ঈমানদারগন, (যথাযথভাবে ইসলাম প্রচার প্রসারের দায়িত্ব পালন করে) তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য কর তাহলে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং (দুনিয়ার বুকে) তোমাদের পা সূদৃয় করবেন। সূরা মুহাম্মাদ ৭।
তারা কি আমার কুরআনের (বিষয়বস্তুর) উপর চিন্তা ভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূরা মুহাম্মাদ ২৪।
হে ঈমানদারগন। আল্লাহর আনুগত্যে কর সেই সঙ্গে রাসুলের আনুগত্যে কর। (আল্লাহ এবং রাসুলের হুকুম সমুহ অমান্য করে ) তোমরা তোমাদের সৎকর্ম সমুহ ধ্বংশ করে দিওনা। সূরা মুহাম্মাদ ৩৩।
তোমাদেরকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে অর্থ সম্পদ ব্যয় করতে আহবান জানানো হচ্ছে আর তোমাদের মধ্যেকার কিছু লোক কৃপনতা করছে। যারা কৃপনতা করছে তারা আসলে নিজেদের সঙ্গেই কৃপনতা করছে। যারা কৃপন তারা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের সঙ্গেই কৃপনতা করছে। আল্লাহ অভাবশুন্য। তোমরা তার মুক্ষাপেক্ষি। যদি তোমরা আল্লাহর হুকুম থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে তিনি তোমাদের ধ্বংশ করে অন্যে কোন জাতী তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন যারা তোমাদের মত অবাধ্য হবে না। সূরা মুহাম্মাদ ৩৮।
আল্লাহ এবং শেষনবীর প্রতি যারা বিশ্বাস স্থাপন করেনি তাদের জন্য আমি অত্যান্ত ভয়ংকর অগ্নী প্রস্তুত করে রেখেছি। সূরা আল ফাতহ ১৩।
হে ঈমানদারগন। কোন ফাসেক যদি তোমাদের নিকট কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে অনুসন্ধান কর সে সত্য বলছে কিনা, এমন যেন না হয় তোমরা তার কথা শুনে কাহারো উপর চরাও হয়ে যাবে অতপর তোমাদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে। সূরা আল হুজুরাত ৬।
মুসলমানদের মধ্যে থেকে দুইটি দল (বা দুই ব্যক্তি) যদি ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের মধ্যে মিমাংসা করে দাও। তারপরও যদি একটি অপরটির প্রতি বাড়াবাড়ি করে তাহলে যে দল (বা ব্যক্তি) বাড়াবাড়ি করে তাদের সঙ্গে লড়াই কর যতক্ষন পর্যন্ত না তারা আল্লাহর (নির্দেশিত সত্যে) পথে ফিরে আসে। সূরা আল হুজুরাত ৯।
মুমিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যেকার সম্পর্ক ভাল করে দাও এতে আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হইবে। সূরা আল হুজুরাত ১০।
হে ঈমানদারগন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে কটাক্ষ না করে হতে পারে যাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে সে উত্তম। কোন নারীও যেন অপর কোন নারী কে কটাক্ষ না করে হতে পারে যাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে সে উত্তম। সূরা আল হুজুরাত ১১। (একাংশ)
হে ঈমানদারগন। তোমরা ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারন অনেক ধারনা অনুমান গোনাহ। মানুষের দোষ অনুসন্ধান করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে ? বস্তুত তোমরা তা অপছন্দই করবে। আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা কবুলকারী ও দয়ালু। সূরা আল হুজুরাত ১২।
আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তাদের অন্তরজগতে যে সমস্ত মন্দ চিন্তার উদয় হয় সেগুলোও আমি জানি, আমিত মানুষের ঘারের চেয়েও অধিক নিকটে অবস্থান করছি। প্রতিনিয়ত দুইজন ফেরেস্তা মানুষের (ভাল মন্দ) কর্ম সমুহ লিপিবদ্ধ করে যাচ্ছে। সূরা ক্কাফ ১৬/১৭।
(সেই সব লোক) ধ্বংশ হয়েছে যারা অনুমাণ ও ধারনা করে কথা বলে। সূরা আয যারিয়াত ১০।
তোমরা (ঈমানদারদেরকে বিনয়ের সঙ্গে) উপদেশ দিতে থাক কারন উপদেশ ঈমানদারদের জন্য উপকারী। সূরা আয যারিয়াত ৫৫।
জ্বীন এবং মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুমাত্র আমার আনুগত্যে করার জন্য। সূরা আয যারিয়াত ৫৬।
সেই (ভয়ংকর দিন) আসার পূর্বে দুনিয়াতেই জালেমদের জন্য একটি শাস্তি আছে কিন্তু তাদের অধিকাংশই এই বিষয়টি জানে না। আত তুর ৪৭।
মানুষ দুনিয়াতে যা চায় তাই কি পায় ? সূরা আন নাজম ২৪।
তোমাদের পালনকর্তাই ভাল জানেন কে সঠিক পথ থেকে বিচু্যত হয়ে আছে এবং কে সঠিক পথে অবস্থান করছে। সূরা আন নাজম ৩০।
যারা বড় বড় গোনাহ এবং অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকে তাদের ছোট গোনাহগুলোর ক্ষেত্রে আল্লাহর ক্ষমা প্রশস্ত। সূরা আন নাজম ৩২। একাংশ
আমি কুরআনকে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি, অতএব তোমাদের মধ্যে কোন চিন্তাশীল আছে কি (কুরআন বুঝার চেষ্টা করবে) সূরা আল ক্কামার ১৭।
ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না। সূরা আর রাহমান ৯।
একদিন ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংশ হয়ে যাবে শুধুমাত্র মহীয়ান গরিয়ান আল্লাহর সত্বা ছাড়া। সূরা আর রাহমান ২৬/২৭।
ঈমানদারদের কি এখনো সময় হয়নি আল্লাহর স্বরণে তাদের অন্তর বিগলিত হবে এবং আল্লাহর নাযিলকৃত হেদায়েতের অনুসরণ করবে। সূরা আল হাদীদ ১৬।
দানশীল পুরুষ ও দানশীলা নারী যারা আল্লাহকে ধার দেয়, তাদেরকে ফেরত দেওয়া হবে বহুগুন এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পুরষ্কার। সূরা আল হাদীদ ১৮।
মুমিনদের উচিৎ (সকল ভাল কাজে) শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা। সূরা আল মুজাদালাহ ১০।
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা কিতাবের জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। সূরা আল মুজাদালাহ ১১।
আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা করছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী। সূরা আল হাশর ১।
যে ব্যক্তি আল্লাহর (নাযিলকৃত দ্বীন ইসলামের) বিরোধীতা করে তার জেনে রাখা উচিৎ যে আল্লাহ অত্যান্ত কঠিন শাস্তীদাতা। সূরা আল হাশর ৪।
রাসুল তোমাদের যে সমস্ত আদেশ দিয়েছেন সেগুলো মেনে চল এবং যে সমস্ত কাজ করতে নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাক আর আল্লাহকে ভয় কর কারন তিনি কঠিন শাস্তীদাতা। সূরা আল হাশর ৭।
যাদের মন কৃপনতা থেকে মুক্ত শুধুমাত্র তারাই সফলকাম। সূরা আল হাশর ৯।
হে মুমিনগন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক ব্যক্তির লক্ষ রাখা উচিৎ আগামীকাল (আখেরাতে শাস্তী থেকে বাচার জন্য) জন্য সে কি আমল প্রেরন করেছে। আল্লাহকে ভয় করে চল। আল্লাহ ভালভাবেই জানেন তোমরা যা কর। সূরা আল হাশর ১৮।
তোমরা তাদের মত হয়ে যেয়ো না যারা আল্লাহকে ভুলে (শাস্তীর যোগ্য হয়ে) গেছে ফলে আল্লাহ তাদের আত্বভোলা বানিয়ে রেখেছেন। এরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট। সূরা আল হাশর ১৯।
তোমরা (অবিশ্বাসীদের) সঙ্গে বন্ধুত্ব করছ অথচ তোমাদের নিকট যে সত্য (দ্বীন ইসলাম) এসেছে তারা তা মানতে অস্বীকার করে। সূরা আল মুমতাহিনা ১।
বিচারের দিন আত্বীয় স্বজন ও সন্তান সন্ততি তোমাদের কোনই কাজে আসবে না। তিনি সেদিন তোমাদের মধ্যে চূরান্ত ফায়সালা করবেন। আল্লাহ দেখেন তোমরা যা কর। সূরা আল মুমতাহিনা ৩।
আজকে যারা তোমাদের শত্রু হয়ে আছে আল্লাহ চাইলে তাদের সঙ্গে তোমাদের বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দিবেন। আল্লাহ প্রচন্ড ক্ষমতাবান, ক্ষমাশীল ও করুনাময়। সূরা আল মুমতাহিনা ৭।
হে মুমিনগন। এমন কথা কেন তোমরা বল যা তোমরা নিজে আমল কর না। আল্লাহর নিকট ইহা অত্যান্ত নিকৃষ্ট কাজ যে, তোমরা মানুষকে উপদেশ দিয়ে বেড়াবে অথচ নিজেরা সেগুলো মেনে চলবে না। সূরা আস সফ ২,৩।
স্বরণ কর, যখন মরিয়মের পুত্র ঈসা বলল, হে বনী ইসরাইল, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল, আমি তোমাদের উপর পূর্বে নাযিলকৃত তাওরাত কিতাবের সত্যতা সমর্থনকারী। এবং আমি এমন একজন রাসুলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আগমন করবেন। (জেনে রেখ) তার নাম হবে আহমাদ। অতপর যখন (শেষনবী আহমাদ) সুস্পষ্ট প্রমানাদি নিয়ে আগমন করল তখন (অমুসলিম সমপ্রদায়) বলল ইহাত এক স্পষ্ট জাদু। সূরা আস সফ ৬।
তারা মুখের ফু দিয়ে আল্লাহর নূর (ইসলাম) নিভিয়ে দিতে চায় অথচ আল্লাহ একে পূর্নরূপে বিকশিত করবেন ইহা অবিশ্বাসীরা যতই কষ্ট অনুভব করুক না কেন। সূরা আস সফ ৮।
তিনিই তার রাসুল (মুহাম্মদকে) দ্বীনে হক্ক দিয়ে পাঠিয়েছেন যেন অন্য মতাদর্শগুলোর উপর দ্বীন ইসলাম বিজয়ী হতে পারে। যদিও মুশরিকরা ইহা অপছন্দ করে। সূরা আস সফ ৯।
হে ঈমানদারগন। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি বানিজ্যের কথা বলব যা তোমাদের যন্ত্রনাদায়ক শাস্তী থেকে রক্ষা করবে ? আর তা হল তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের উপর ঈমান আনবে এবং আল্লাহর পথে (ইসলাম প্রচার প্রসারে) নিজেদের ধন সম্পদ ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করবে। ইহাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে। সূরা আস সফ ১০,১১।
হে ঈমানদারগন। তোমরা আল্লাহর (দ্বীন ইসলামের) সাহায্যকারী হয়ে যাও। সূরা আস সফ ১৪।
মহাকাশে যা কিছু আছে এবং যমিনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা করছে, তিনি রাজাধিরাজ, মহা পবিত্র, পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। সূরা আল জুমুআহ ১।
হে ঈমানদারগন, জুমুআর দিন যখন নামাজের আযান দেওয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্বরনে (মসজিদের) দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় বন্ধ কর, এই কর্মপন্থাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে। সূরা আল জুমুআহ ৯।
যখন তোমাদের নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন আমার অনুগ্রহ সন্ধান করার জন্য যমিনে ছড়িয়ে পর এবং (কর্মক্ষেত্রে গিয়ে নিজের যোগ্যতার উপর নির্ভর না করে) আমাকে খুব বেশি বেশি স্বরণ করতে থাক, যেন তোমরা সফলতার দ্ধারপ্রান্তে উপনিত হতে পার। সূরা আল জুমুআহ ১০।
মুনাফিকরা তাদের (ঈমানের) শপথকে ঢালসরূপ ব্যবহার করে, (তারা মুসলিম সমাজে থেকে বিভিন্ন কর্মপ্রদ্ধতি অবলম্বন করে) যেন মানুষ হেদায়েতের পথে আসতে না পারে, কতইনা মন্দ এই সমস্ত কাজ। এর প্রকৃত কারন হল তারা ঈমান এনে পূনরায় (ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে আল্লাহর সঙ্গে) কুফরি করেছে যার ফলে আল্লাহ তাদের অন্তকরণ হেদায়েতের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন, আর এই জন্যই তারা কিছুই বুঝতে পারে না। আল মুনাফিকুন ২,৩।
হে নবী আপনি (ইসলাম বিদ্বেসী মুনাফিকদের জন্য) আল্লাহর নিকট দোয়া করুন বা না করুন উভয়ই সমান, আল্লাহ মুনাফিকদের কখনোই ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ কখনো পাপাচারি সমপ্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না। আল মুনাফিকুন ৬।
হে ঈমানদারগন। তোমাদের ধন সম্পদ সন্তানাদি যেন আল্লাহর স্বরণ থেকে উদাসিন না করে কেননা যারা এসব কারনে আল্লাহর স্বরণ থেকে উদাসিন হয় তারাই চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আল মুনাফিকুন ৯।
আমি তোমাদেরকে যে রিজিক (অর্থ সম্পদ) দান করেছি সেখান থেকে মৃতু্য আসার পূর্বেই (ধর্মিয় কল্যান ও মানব কল্যানে) খরচ কর। অন্যথায় মৃতু্যর পর সে বলবে, আমাকে আরও কিছুদিন দুনিয়াতে বাচিয়ে রাখলে না কেন ? তাহলেত আমি খরচ করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তভর্ুক্ত হয়ে যেতাম। আল মুনাফিকুন ১০।
যে ব্যক্তি ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে আমি তার গোনাহ সমুহ ক্ষমা করবেন, তাকে প্রবেশ করানো হবে এমন জান্নাতে যার তলদেমে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে সে চিরকাল থাকবে, আর এটাই হল বিরাট সফলতা। সূরা আত-তাগাবুন ৯।
আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিত মানুষের উপর কোন বিপদ আসে না। (বিপদে পরে অধৈর্য না হয়ে) যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস পোষন করে আল্লাহ তার আত্বাকে সরল পথের দিকে ধাবিত করেন। আল্লাহ সবকিছু জানেন। সূরা আত-তাগাবুন ১১।
আল্লাহ ব্যতিত আর কোন ইলাহ নেই অতএব মুমিনদের কেবলমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ। সূরা আত-তাগাবুন ১৩।
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে আল্লাহ তাকে সকল প্রকার সংকট (ও অনিশ্চয়তা) থেকে নিস্কৃতি দান করবেন এবং তার জন্য এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করা হবে যা তার ধারণাও ছিলনা। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট, আল্লাহ তার সকল কাজ সহজ করবেন। সূরা অত্ব-ত্বালাক ২,৩।
হে ঈমানদারগন। তোমরা নিজেদের এবং তোমার পরিবার পরিজনকে সদুপদেশ প্রদান করার মাধ্যমে জাহান্নামের সেই (ভয়ংকর) আগুন থেকে বাচাও যাহার ভিতর প্রবেশ করবে মানুষ ও পাথর। সূরা আত-তাহরীম ৬।
হে ঈমানদারগন। তোমরা আল্লাহর নিকট তোমাদের গোনাহের জন্য আন্তরিকভাবে তওবা কর আশা করা যায় এর ফলে আল্লাহ তোমাদের মন্দ আমলগুলো দূর করে দিবেন। সূরা আত-তাহরীম ৮।
তিনি সৃষ্টি করেছেন মৃতু্য ও জীবন যেন তিনি পরিক্ষা করতে পারেন কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। সূরা আল মুলক ২।
অবিশ্বাসীদের বলে দিন। আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা। সেই সঙ্গে তোমাদের দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি এবং (চিন্তা করার জন্য) অন্তর, তোমরা অল্পই এই সমস্ত নেয়ামতের শোকরিয়া আদায় করে থাক। সূরা আল মুলক ২৩।
কেয়ামতের দিন (যারা দুনিয়াতে নামাজ আদায় করেনি তাদেরকে) সেজদা করতে বলা হবে অতপর তারা সেজদা করতে পারবে না, তাদের দৃষ্টি থাকবে সেদিন লজ্জায় অবনত, তারা হবে (কঠিন) লাঞ্চনাগ্রস্ত। অথচ তারা যখন সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল তখন তাদেরকে সেজদার জন্য আহবান করা হত। সূরা আল কলম ৪২,৪৩।
কুরআন সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য একটি উপদেশ। সূরা আল কলম ৫২।
পাপাচারিরা বিচারের দিন শাস্তী থেকে বাচার জন্য মুক্তির বিনিময় সরূপ নিজেদের সন্তান সন্ততি, নিজের স্ত্রী, আপন ভাই, এবং তাকে যে সমস্ত আপনজন আশ্রয় দিত তাদেরকে এমনকি (সে যদি সমগ্র দুনিয়ার মালিক হয়ে থাকে) সবই সেদিন দিতে চাইবে শুধু নিজেকে শাস্তী থেকে বাচানোর জন্য। কখনো নয় (বরং সে দেখবে) আগুনের লেলিহান শিখা। যে আগুন তার চামড়া পর্যন্ত পূড়ে ফেলবে। সূরা আল মাআরিজ ১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬।
যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসুলের আদেশ অমান্য করে চলবে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেটাই হবে তার চির আবাস্থল। সূরা আল জিন ২৩।
হে চাদর আবৃত ব্যক্তি। (ঘুম থেকে উঠো) এবং নফল নামাজের জন্য দন্ডায়মান হও রাত্রের কিছু অংশ বাদ দিয়ে। (আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার জন্য নামাজ আদায় কর) অর্ধেক রাত পর্যন্ত অথবা তার চেয়ে কিছু কম সময় ধরে। অথবা তার চেয়েও বেশি এবং কুরআন আবৃতি কর ধিরে ধিরে। সূরা আল মুযযাম্মিল ১,২,৩,৪।
নিশ্চয়ই (নফল নামাজ আদায়ের জন্য) রাত জাগরন প্রবৃত্তিকে দমন করার ক্ষেত্রে অতিশয় কার্যকর। এবং কুরআন আবৃত্তির উপযুক্ত সময়। সূরা আল মুযযাম্মিল ৬।
হে চাদর আবৃত ব্যক্তি। ঘুম থেকে উঠো। আত্বভোলা লোকদের সতর্ক কর। পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা কর। নিজের পোশাক পবিত্র রাখ। অপবিত্রতা থেকে দুরে থাক। সূরা আল মুদ্দাসসির ১,২,৩,৪,৫।
পাপাচারিদের সেদিন জিজ্ঞাসা করা হবে কেন তোমরা জাহান্নামের অধিবাসী হলে ? তারা বলবে আমরা নামাজ আদায় করতাম না এবং অভাবগ্রস্থদের খাবার দিতাম না। সূরা আল মুদ্দাসসির ৪১,৪২,৪৩,৪৪।
অবিশ্বাসীরা প্রশ্ন করে কেয়ামত (মহা বিপর্যয়) কোনদিন আসবে। যখন মানুষের চক্ষু সমুহ (বন্ধ না হয়ে) স্থির হয়ে যাবে ! চাদ যখন তার আলো হারিয়ে ফেলবে ! এবং চন্দ্র সূর্যকে একত্রিত করা হইবে ! (ভয়ংকর এই অবস্থায় পতিত হয়ে) সেদিন মানুষ বলে উঠবে এখন কোথায় পালানো যেতে পারে ? কখনো না। সেদিন পালানোর কোন জায়গা থাকবে না। তোমাদের সবাইকে সেদিন কৃতকর্মের হিসাব দেওয়ার জন্য তোমাদের রবের সামনে দাড়াতে হবে। সূরা আল কেয়ামাহ ৬-১২।
মানুষের উপর দিয়ে এমন একটি (রহস্যময়) সময়ও অধিবাহিত হয়েছে যখন সে কোন উল্লেখযোগ্য বস্তুই ছিল না। সূরা আদ দাহর ১।
ধৈর্য সহকারে তোমার রবের আনুগত্যে করতে থাক। পথভ্রষ্ট লোকদের অনুগত্যে করো না। সকাল সন্ধায় আল্লাহর যিকির কর। রাত্রের কিছু অংশে তার সামনে সিজদাবনত হও এবং রাত্রে দির্ঘ সময় পর্যন্ত তার পবিত্রতা ঘোষনা কর। সূরা আদ দাহর ২৪,২৫,২৬।
(আসলে বিচারের) সেই দিন ধ্বংশ অপেক্ষা করছে মিথ্যা রচনাকারীদের জন্য। সূরা আল মুরসালাত ১৫।
বিচারের দিন ফেরেস্তাগন (রবের সম্মুখে) সারীবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে যাবে, দয়াময় প্রভু সেদিন যাকে অনুমতি দিবেন সে ব্যতিত আর কেহ কথা বলতে পারবে না। যে কথা বলবে সে সত্য বলবে। সূরা নাবা ৩৮।
(বিচারের) সেই দিনটি (কিন্তু) সত্য। (অতএব) যার ইচ্ছা সে তার রবের পথে চলার প্রস্তুতি গ্রহন করুক। সূরা নাবা ৩৯।
যখন মহা বিপর্যয় এসে পরবে তখন মানুষ তার কৃতকর্ম স্বরণ করতে থাকবে, সেদিন জাহান্নাম সকলের সম্মুখে উপস্থিত করা হইবে তখন যে ব্যক্তি (পাপ কর্মে) সীমালংঘন করেছিল এবং (আল্লাহকে ভুলে) দুনিয়ার জীবনকে আখেরাতের উপর প্রধান্য দিয়েছিল তার চূরান্ত আবাস্থল হবে জাহান্নাম। সূরা আন নাযিআত ৩৪-৩৯।
পক্ষান্তরে যারা রবের সম্মুখে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং অন্তরকে খারাপ কামনা বাসনা থেকে বিরত রেখেছে তার ঠিকানা হবে জান্নাত। সূরা আন নাযিআত ৪০-৪১।
যেদিন (মানুষ ৫০,০০০ বৎসরের) বিচারের লম্বা দিনটি দেখবে সেদিন মানুষ মনে করবে দুনিয়াতে তারা এক সকাল কিংবা এক সন্ধা অবস্থান করেছে মাত্র। সূরা আন নাযিআত ৪৬।
মানুষ কখনো রবের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়নি এবং (স্রষ্টার প্রতিনিধিত্ব করার) যে দায়িত্ব দিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছিল সে দায়িত্বও সে (সঠিকভাবে) পালন করেনি। সূরা আবাসা ২৩।
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, আমি আশ্চর্য উপায়ে যমিনে পানি বর্ষন করেছি, অতপর ভূমি বিদির্ণ করেছি, অতপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য, আঙ্গুর, শাক-সবজী, যয়তুন, খেজুর, ঘন উদ্যান, ফল এবং ঘাস, তোমাদের এবং তোমাদের গৃহপালিত পশুর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরন। সূরা আবাসা ২৪-৩২।
অতপর যখন কান ফাটানো (সেই ভয়ংকর) আওয়াজ (পৃথিবীর দিকে) আসবে তখন মানুষ ভয়ে পালাতে থাকবে নিজের আপন ভাইয়ের কাছ থেকে, (পালাতে থাকবে) তার মাতা, তার পিতা, তার স্ত্রী, ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে এমন চিন্তিত থাকবে যে, তাকে সে চিন্তা ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে (ফলে আপনজনকে পর্যন্ত মানুষ ভুলে যাবে) সূরা আবাসা ৩৩-৩৭।
যখন আকাশ ফেটে পড়বে। যখন মহাকাশের নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে। যখন সমুদ্রগুলোকে (প্রচন্ড বিস্ফোরনের) মাধ্যমে উত্তাল করে তোলা হবে। যখন কবর সমুহ খুলে দেওয়া হবে। তখন প্রত্যেকটি মানুষ জেনে যাবে যে, সে (এই জীবনের জন্য) কি আমল পাঠিয়েছে এবং কি আমল সে পিছনে ফেলে এসেছে। সূরা আল ইনফিতার ১-৫।
হে মানুষ। কোন জিনিষ তোমাদেরকে তোমাদের মহান রবের ব্যপাড়ে ধোকায় ফেলে রাখলো ? সূরা আল ইনফিতার ৬।
তাদের জন্য ধ্বংশ অনিবার্য যারা মাপে কম দেয়। তাদের অবস্থা হল (মাল ক্রয় করতে গিয়ে) মেপে নেওয়ার সময় পূর্ন মাত্রায় মেপে নেয় (কিন্তু ক্রেতাদের) দেওয়ার সময় ওজনে কম দেয়। তারা কি এটা চিন্তা করেনা যে, তাদেরকে একদিন উঠানো হবে এক মহা দিবসে। সূরা আল মুতাফফিফীন ১।
যারা মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে কষ্ট দিয়েছে অতপর (এই কুকর্ম থেকে) তওবা করেনি নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে জাহান্নামের শাস্তী। সূরা বুরুজ ১।
প্রকৃত সফলকাম সেই ব্যক্তি যে পবিত্রতা অবলম্বন করেছে, আল্লাহর যিকির করেছে এবং নামাজ আদায় করেছে। সুরা আল-আলা ১৪,১৫।
তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রধান্য দিচ্ছ ? অথচ তোমাদের জন্য আখেরাতের জীবনই হল উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। সুরা আল-আলা ১৬,১৭।
নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রম নির্ভর করে সৃষ্টি করেছি। সূরা আল বালাদ ৪।
আমি মানুষকে দুটি সুষ্পষ্ট (হেদায়েতের) পথ দেখিয়েছি, কিন্তু মানুষ সে পথ অতিক্রম করতে পারেনি, তুমি কি জান সেই পথ কি ? তা হচ্ছে কোন দাস (অথবা নির্দোষ বন্দি) মুক্ত করা। দূর্ভিক্ষের সময় অসহায় মানুষকে অন্নদান, এতিম অসহায় আত্বীয় স্বজনকে অথবা ধুলি মলিন অসহায় মিসকিনকে খাদ্য দান। সূরা আল বালাদ ১০-১৬।
নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি সফল যে (মন্দ চিন্তা চেতণা থেকে) তার অন্তর পরিশুদ্ধ রেখেছে, পক্ষান্তরে (মন্দ চিন্তা চেতণা দ্ধারা) যে ব্যক্তি তার অন্তর কলুষিত করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে। সূরা আস সামস ৯,১০।
(অসহায়) এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না। (অভাবগ্রস্থ) ফকিরদেরকে তিরস্কার করো না। সূরা আদ দোহা ৯,১০।
নিশ্চয়ই (দুঃখ) কষ্টের সঙ্গে মানুসিক প্রশান্তি আছে। সূরা আল ইনশিরাহ ৬।
আমি কুরআন অবর্তিন করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন কদরের রাত কি ? কদরের রাত হাজার মাস হতেও উত্তম। ফেরেস্তা এবং রুহ এই (বরকতময়) রাতে আল্লাহর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতির্ন হয়। (বিশ্বব্যপী) এই রাতে শান্তি বিরাজ করে ফজর পর্যন্ত। সূরা আল কদর।
যারা ঈমান আনে সেই সঙ্গে নেক আমল করে একমাত্র তারাই সৃষ্টির সেরা। সূরা বাইয়্যিনাহ ৭।
(বিচারের দিন) কেহ অনু পরিমান সৎকর্ম করে থাকলেও দেখতে পাবে এবং কেহ অনু পরিমান অসৎকর্ম করে থাকলেও দেখতে পাবে। সূরা যিলযাল ৭,৮।
অতএব সেদিন যার (নেক আমলের) পাল্লা ভারি হবে সে নিরাপত্রার সঙ্গে শান্তিতে (জান্নাতে) বসবাস করবে এবং যারা (নেক আমলের পাল্লা) হালকা হবে তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। তুমি কি জান হাবিয়া কি ? প্রজ্জলিত (এক ভয়ংকর) অগ্নী। সূরা কারিয়া ৬-১১।
প্রাচুর্যের লালসা (অর্থাৎ দুনিয়াতে অধিক পাওয়ার আশা) তোমাদেরকে (আসলে) আল্লাহর স্বরণ থেকে উদাসিন রাখে। সূরা তাকাসুর ১।
অবশ্যই তোমাদেরকে সেদিন (দুনিয়ার) প্রত্যেকটি নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইবে। সূরা তাকাসুর ৮।
কসম যুগের। মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। কিন্তু তারা ব্যতিত যারা ঈমান আনে, নেক আমল করে, মানুষকে উপদেশ দেয় হকের এবং উপদেশ দেয় সবরের। ১-৩। সূরা আল আসর।
প্রত্যেক পশ্চাতে এবং সম্মুখে (মানুষের) পরনিন্দা কারীদের জন্য রয়েছে (চরম) দূর্ভোগ। সূরা হুমাযাহ ১।
(আল্লার নির্দেশিত পথে খরচ না করে) যে ব্যক্তি অর্থ সঞ্চয় করে এবং গুনতে থাকে। সে (কি তাহলে) মনে করে এই অর্থ তার কাছে চিরকাল থাকবে। কখনো না। সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। তুমি কি জান সেই পিষ্টকারী কি ? ইহা আল্লাহর প্রজ্জলিত (এক ভয়ংকর) আগুন। সূরা হুমাযাহ ২-৬।
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা (ধর্মের শত্রু) হস্তীবাহিনীর সঙ্গে কি আচরন করেছেন। তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেননি ? তিনি তাদের উপর প্রেরন করেছেন ঝাকে ঝাকে পাখি। যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল। অতপর তিনি তাদেরকে ভুসিতে পরিনত করেন। সূরা ফীল ১-৫।
সেই সমস্ত নামাজীদের জন্য ধ্বংশ, যারা (যথাযথভাবে) তাদের নামাজ (আদায়ের) ব্যপাড়ে উদাসিন। যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে এবং সাধারন ব্যবহার্য জিনিষ মানুষকে দিতে চায়না। সূরা আল মাউন ৪,৫।
তোমার পালনকর্তার উদ্দেশ্য নামাজ আদায় কর এবং (সামর্থ থাকলে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) কুরবানী কর। সূরা আল কাউসার ২।
যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে তখন তুমি দলে দলে (অমুসলিমদের) ইসলামে প্রবেশ করতে দেখবে। সূরা নসর ১,২।
বলুন তিনি আল্লাহ এক। আল্লাহ কাহারো মুখাপেক্ষি নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। (আকাশ পৃথিবীতে) তার সমকক্ষ কেহ নেই। সূরা এখলাস ১-৪।
বলুন। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রভাতের রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন এমন প্রত্যেকটি বস্তুর অনিষ্ট থেকে। অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে যখন সে উপস্থিত হয়। গিরায় ফুৎকারদানকারীর অনিষ্ট থেকে। এবং হিংসুকদের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। সূরা ফালাক ১-৫। (উল্লেখ্য যে, ইহা একটি শক্তিশালী দোয়া)
বলুন। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের পালনকর্তার। মানুষের অধিপতির। মানুষের মাবুদের। তার অনিষ্ট থেকে যে কুমন্ত্রনা দেয় এবং আত্বগোপন করে। যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে। জি্বনের মধ্যে থেকে এবং মানুষের মধ্যে থেকে। সূরা নাস ১-৬। (উল্লেখ্য যে, সূরা ফালাক এবং নাস একটি শক্তিশালী দোয়া)
ইহা আল্লাহর কিতাব, এই মধ্যে সন্দেহ নেই, এই কিতাব সেইসব মুত্তাকীদের হেদায়েতের পথ দেখায় যারা অদৃশ্য বিষয়বস্তুর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, নামাজ কায়েম করে, এবং তাদেরকে যে ধন সম্পদ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে ব্যয় করে (ধর্মিয় কল্যান এবং সমাজ কল্যান মুলক কাজে), আর যে কিতাব তোমার প্রতি নাযিল হয়েছে এবং পূর্বে যে সমস্ত কিতাব রাসুলদের উপর নাযিল হয়েছিল সেগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে, এ ধরনের লোকেরাই তাদের রবের পথে প্রতিষ্টিত এবং এরাই কল্যান লাভ করতে পারবে। পক্ষান্তরে যারা এই বিষয়গুলোকে মেনে নেয়নি তাদেরকে সতর্ক করো বা না করো তাদের পক্ষে সমান তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না, (ক্রমাগত কুফরী করার কারনে) আল্লাহ তাদের হৃদয়ে কানে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টির সম্মুখে রয়েছে পর্দা আর তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অত্যান্ত কঠিন শাস্তী। সুরা আল বাক্কারা ১ থেকে ৭। মোট আয়াত ৩৪৬ টি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন